নিজস্ব প্রতিবেদন: নিমতায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডু। বুধবার দিনহাটায় খুন হলেন তৃণমূল কর্মী আসগর আলি ওরফে আজিজার রহমান। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ইদে বাজারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী আজিজার রহমান। তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলে অভিযোগ, আজিজারকে খুন করেছে বিজেপির লোকজনেরা। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের খুন হয়েছেন তাদের দলের কর্মী।  



কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান, সাড়ে ৬টা-পৌনে সাতটা নাগাদ দিনহাটার একটা গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে যায় বিজেপির হার্মাদবাহিনী। তাঁকে গলা টিপে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিস রয়েছে। পুলিসকে বলেছি, অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। এখানে বিজেপি-সিপিএম এককাট্টা হয়ে গ্রামে গ্রামে অত্যাচার চালাচ্ছে। মানুষ জোট না বাঁধলে এদের অত্যাচার চলবে। ধান কাটা বন্ধ। বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে।


কিন্তু আইনশৃঙ্খলা তো রাজ্যের হাতে? রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, পুলিস তো আর বাড়ি বাড়ি পাহারা দিতে পারে না। রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গেলে কী হবে? ঘটনায় বিজেপির কর্মীরা জড়িত। থানায় নামের তালিকা দেওয়া হবে। এসব বন্ধ হওয়া উচিত। তৃণমূল কী পদক্ষেপ করছে? কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ''রমজান মাস চলছিল। ইদের আগে আন্দোলনে নামিনি। এবার রাস্তায় নেমে মিটিং-মিছিল করব''। এনিয়ে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল জি ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। 


তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল কোচবিহার। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তৃণমূলে যুব নেতা-কর্মীরাও শিবির বদল করেন। পরে তাঁরা তৃণমূলে ফিরে যান। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর প্রত্যাবর্তন করেন গেরুয়া ব্রিগেডে। দলবদল হলেও পুরনো বিবাদ রয়ে গিয়েছে। যুব ও মাদার তৃণমূলের সংঘর্ষ এখন বিজেপি-তৃণমূলে পর্যবসিত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। দিনহাটার বাসিন্দাদের দাবি, যুব তৃণমূলের গোটাটাই এখন বিজেপিতে। কিন্তু আগের বিবাদ এখনও মেটেনি। শিবির বদল হলেও পুরনো ঝাল মেটাচ্ছে দুপক্ষ। 


আরও পড়ুন- ৫৯০ কেজি গাঁজা হারিয়েছে? ভয় পাবেন না, যোগাযোগ করুন, আহ্বান অসম পুলিসের