নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল (TMC) ছেড়ে সদ্য যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে (BJP)। ডায়মন্ড হারবারে দলের বৈঠকে যোগ দিয়ে এবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক দীপক হালদার (Dipak Halder)। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ পার্টি অফিসে আটকে থাকতে হয় তাঁকে। শেষপর্যন্ত পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিয়রে বিধানসভা ভোট। রাজ্য জুড়ে রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি (BJP)। ডায়মন্ড হারবারে কীভাবে এই কর্মসূচি পালন করা হবে? তা নিয়ে আলোচনার জন্য এদিন শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির বিভিন্ন অঞ্চলের মণ্ডল সভাপতিরা। সেই বৈঠকে যোগ দেন এলাকার তৃণমূলত্যাগী বিধায়ক দীপক হালদারও (Dipak Halder)। দিন কয়েক আগে বারুইপুরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) উপস্থিতিতে গেরুয়াশিবিরে (BJP) নাম লিখিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: ফের রাজ্যে আসছেন PM Modi, ২২ ফেব্রুয়ারি হুগলিতে বড় জনসভা প্রধানমন্ত্রীর


জানা গিয়েছে, বিজেপির পার্টি অফিসে যখন বৈঠক চলছিল, তখন বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। এমনকী, হাতে লাঠি নিয়ে তাঁরা হুমকি দিতে থাকেন বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার থানায়। বিক্ষোভরত তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। ততক্ষণ পর্যন্ত বিজেপির পার্টি অফিসে আটকে ছিলেন বিধায়ক। তাঁর দাবি, দলের সমস্ত দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে পরিকল্পনামাফিক গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।


আরও পড়ুন: দীনেশ ত্রিবেদীর রাজ্যসভায় ইস্তফা নিছক ষড়যন্ত্র, তদন্তের দাবি তৃণমূলের


প্রসঙ্গত,  দলবদলের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই  'বেসুরো' ছিলেন ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। কুলতলি থেকে ডায়মন্ডহারবার, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কোনও জনসভাতেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি তাঁকে। পিকে-র ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দীপক। শেষপর্যন্ত ১ ফ্রেরুয়ারি তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক এবং সেদিনই বারুইপুরে এক জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন বিজেপিতে।