নিজস্ব প্রতিবেদন: আশঙ্কা ছিলই, তৃণমূল (TMC) নেতাকে খুনের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হাওড়া (Howrah)। বি গার্ডেন এলাকায় ৪টি বাস ও বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল বাইক, স্থানীয় একটি আবাসনের ঘরেও! পুলিসের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ এলাকার মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: খাস Kolkata-য় রাতের অন্ধকারে কুকুরদের 'ধর্ষণ' যুবকের!


ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার বিকেলে। হাওড়ার শালিমার (Shalimar) থেকে বাইক চালিয়ে ফিরছিলেন যুব তৃণমূলের (TMC) কার্যকরী সভাপতি ধর্মেন্দ্র সিং (Dharmendra Singh)। বাইকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বি গার্ডেন (B Garden) থানার অন্তর্গত শালিমার (Shalimar) তিন নম্বর গেট এলাকায় বাইকে করে এসে ওই তৃণমূলকে (TMC) নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীরা। ৬ রাউন্ড গুলি চলে। রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন: বর্ষবরণের উৎসবে রাশ টানল আদালত, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্যকে কড়া নির্দেশ High Court-র


তৃণমূল (TMC) নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে চত্বরে জড়ো হন তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের হাতে বাঁশ ও লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকায় শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। অভিযোগ, বি গার্ডেনে এলাকায় চারটি বাসকে থামিয়ে নির্বিচারে চলে ভাঙচুর। ভাঙচুর চলে আশেপাশে ৮টি দোকানে। বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় RAF। হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূল হাওড়া সদরের সভাপতি, মন্ত্রীর অরূপ রায়। তিনি বলেন, 'ধর্মেন্দ্র সিং-র মাথায় গুলি লেগেছিল। পুলিশকে তদন্ত করতে বলেছি।' এই খুন কি রাজনৈতিক? সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী। বলেন, 'কোনও ষড়যন্ত্র আছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে না জেনে কোনও মন্তব্য করব না। আগে জানি, তারপর বলব।'