Belghoria: কামারহাটিতে প্রকাশ্য়ে তৃণমূলের `গোষ্ঠী কোন্দল`, পুলিস কর্তার আত্মীয়কে মারধরের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, গত পুর নির্বাচনে কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মল রাইয়ের হয়ে কাজ করেছিলেন তৃণমূল কর্মী বাবলু ঠাকুর। তবে, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর তিনি দলের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেননি। নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।
বরুণ সেনগুপ্ত: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের 'গোষ্ঠী সংঘর্ষ'। কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা। আক্রান্ত বাবলু ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, তিনি ডিআইজি অজয় ঠাকুরের খুরতুতো ভাই। ঘটনাস্থলে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত পুর নির্বাচনে কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মল রাইয়ের হয়ে কাজ করেছিলেন তৃণমূল কর্মী বাবলু ঠাকুর। তবে, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর তিনি দলের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেননি। নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাবলু যখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন কাউন্সিলের অনুগামীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তৃণমূল কংগ্রেসে পুনরায় যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। বাবলু ঠাকুর না বললে, কাউন্সিলরের অনুগামী টিল্লু সিং ও তার দলবল বাবলু ঠাকুরকে মারধর করে। আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে তাঁর শরীরে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনার জানিয়ে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বাবলু ঠাকুর। ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সরাসরি অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীদের দিকে। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর নির্মলা রাই। তাঁর পাল্টা সাফাই শ্যামনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য তৃণমূল কর্মীরা শুক্রবার রাতে এলাকায় ব্যানার লাগাচ্ছিল। তখন সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাবলুর উপর হামলা করেছে। যদিও সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার জানান, ওই ঘটনাটি সম্পূর্ন ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) অজয় ঠাকুরের কাকার ছেলে বাবলু ঠাকুর। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের খোঁজ শুরু করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস।