পার্থ চৌধুরী: করোনার ৫ বছর পরে ফের এক ভয়ংকর ভাইরাসের ভ্রুকুটি। দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এবং ফের সেই চিন। ফলে চিন্তায় পড়েছে সে দেশের সরকার। নতুন এই ভাইরাসের নাম-- 'হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস'। অন্যদিকে দিব্যি দিন কাটছিল এদের। কোভিডের সর্বগ্রাসী দুঃসময় কাটিয়ে জীবন চলছে ছন্দেই। কিন্তু নতুন HMPV ভাইরাসের আতঙ্ক এবারে ছড়াচ্ছে বাংলাতেও। এর আগে দক্ষিণবঙ্গে আবার থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। রাজ্য সরকার নানা নিরাপত্তা নিয়েছেন। এই সময়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিভাগের নতুন একটি প্রকল্প ঘিরে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আমাদের পরিবেশকে নির্মল ও জীবাণুমুক্ত রাখার উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি। পরিবেশ নোংরা হলে রোগ, জীবানুর প্রকোপ বাড়ে। মহামারীর বাসা বিস্তার ঘটে। এসবকে গোড়াতেই আটকে দিতে রোজকার ব্যবহার করা জলকেই পাখির চোখ করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিভাগ। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় জানান, ধূসর জলকে পরিশ্রুত করে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে প্রকৃতিতে। আর এর মধ্য দিয়েই রোগজীবাণুকে অনেকখানি আটকে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।


বিশ্বনাথ রায় জানান, নতুন ভাইরাস নিয়েও তারা সতর্ক। জেলা প্রশাসন ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছে। ডেঙ্গির অভিজ্ঞতায় তারা দেখেছেন, একটি এলাকায় কারো ডেঙ্গি হলে গোটা পরিবার, স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই আতঙ্ক কাটাতে জনস্বাস্থ্য ভাবনায় জোর দিয়েছেন তারা। শুধু ভাবনাই নয়, গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প ঘিরে নির্মাণ কাজ চলছে।


আরও পড়ুন:Malbazar: নুনের মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয় নেশার জিনিস, রাত নামতেই মূল্যবান সবকিছু সাফ করল চোর


ধূসর জল হল নিত্য ব্যবহার্য জল। কাপড় কাঁচা, বাসন মাজা, স্নানের পর যে জল নির্গত হয় তাকেই প্রথমে বড় সোপ পিটের মত চেম্বারে নিয়ে আসা হবে। এরপর দুটিভাগে বিভক্ত চেম্বারে ইটের টুকরো, পাথর বা গ্রাভেলস ও আরো নানা প্রক্রিয়ায় জীবানুমুক্ত ও পরিশুদ্ধ করা হবে। এবারে সেই জল সাদা জলে পরিণত হবে। তাকেই বিশেষ পদ্ধতিতে ওভার ফ্লো করে ড্রেনের মাধ্যমে রিচার্জ করা হবে প্রকৃতিতে। এতে প্রকৃতিতে জীবানুনাশ হবে, মশার বংশ ধ্বংস হবে। এই প্রকল্পের বাদুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার সাবির আলি মল্লিক জানান, এর আগে তারা অনেক এলকায় মশার দাপট রুখে দিতে দেখেছেন।


দক্ষিণ দামোদর এলাকার খন্ডঘোষের বাদুলিয়া গ্রামে একসময় লোকে ময়ূর দেখতে আসত। এখন এই প্রকল্পের কাজ সাড়া ফেলেছে এই পঞ্চায়েতে। এখানে গিয়ে দেখা গেল, বেশ কিছুটা কাজ এগিয়েছে। আরো কাজ শেষের মুখে। বিশ্বনাথবাবু আরও জানান, ২০১৪-১৫ সাল থেকেই নির্মল গ্রাম প্রকল্প চালু হয়েছে। এখন তারা রোগ আটকাতে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রটিতে জোর দিতে চাইছেন। আর এক কদম এগিয়ে যেতে চাইছেন।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)