অভিমানী সায়ন্তন। লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে কেন্দ্রে বিপুল পরাজয় হয়েছে এই বিজেপি প্রার্থীর। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি চেয়েছিলেন রাজ্যের অন্য কোনও জায়গা থেকে নির্বাচনে দাঁড়াতে। গত চার বছর ধরে তিনি যে সব জায়গায় সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন সেই সব জায়গা থেকেই প্রার্থী হবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উল্টে। যেখানে কোনও দিন যাননি সেই বসিরহাট কেন্দ্রে প্রার্থী হন তিনি। বিপুল ভোটে হারতে হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



শনিবারই কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে বাইরে গিয়েছেন। দূর থেকেই নিজের ফেসবুকে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বললেন, "ব্যাটন ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। গাড়ির চাকা গড়িয়ে চলবেই। যে কেউ গাড়িতে এসে বসতে পারেন।"



প্রার্থী পদ নিয়ে বিজেপির ক্ষোভ সর্বত্রই ছিল। লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করেছিল কেন্দ্রীয় সংসদীয় বোর্ড। এ রাজ্যে প্রার্থী না হওয়ার জন্য সহ সভাপতি রাজকমল পাঠক পদত্যাগ করেছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন, যেখানে সংগঠন করলাম চার বছর ধরে সেখানে প্রার্থী না করে অন্য জায়গায় প্রার্থী করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী বলতে চাইছে?


কিন্তু এসবের কোনও যুক্তিই ধার ধারেনি । তাদের মনে হয়েছে যোগ্যতার নিরিখেই প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে। যে যে কেন্দ্রে জিততে পারেন সেই কেন্দ্রেই তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সেই সময়কার শাসন শুনে নির্বাচনে সেই সময় নেমে পড়েছিলেন অনেকেই। ফল প্রকাশিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তাঁরাই। যদিও সায়ন্তনের এই যুক্তি রাজ্য-কেন্দ্র কোনও নেতৃত্ব মানতে চাইছেন না। তাঁরা বলছেন, লকেট চ্যাটার্জিকে দেখে শিখুন।


আরও পড়ুন - WBJEE 2019: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য রবিবার অতিরিক্ত মেট্রো, কাজের দিনের মত‌োই ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল