বিমল বসু: সন্দেশখালিতে 'টর্নেডো'। স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কুড়ি সেকেন্ড! ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল সরবেড়িয়ার অঞ্চলে আগারটি গ্রাম। ভেঙে  গিয়েছে বহু বাড়ি-ঘর। উপড়ে পড়েছে গাছ। গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে রাখা হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিনভর আকাশের মুখভার। সূর্যের দেখা নেই। বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। সঙ্গে ঝোড়া হাওয়া। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুমে খোলা হয়েছে নবান্নে।  আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, শক্তি বাড়িয়ে সেটি এখন অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শেষ খবর অনুযায়ী, দিঘা উপকূল থেকে থেকে নিম্নচাপটির অবস্থান ১৪০ কিমি দূরে। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে নিম্নচাপটি। এরপর সুন্দরবনের উপর দিতে চলে যাবে বাংলাদেশের দিকে। রাতের পর থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টি ও হাওয়া দাপটও কমে যাবে।


আরও পড়ুন: Bengal Weather: নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধি! ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি একাধিক জেলায়


সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম আগারটিতেও। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে নদী। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিকেল পর আচমকাই গ্রামে আছড়ে পড়ে টনের্ডো! কুড়ি সেকেন্ডের বিধ্বংসী ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় গোটা এলাকা। কারও বাড়ির  এসবেস্টাস উড়ে গিয়েছে, তো কারও বাড়ি টিনের চালা। গৃহহীন কয়েকশো মানুষ। দুর্গতদের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসনও।



আশঙ্কা ছিলই। গত বছর ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুব অল্প সময়ের জন্য টর্নেডোর দেখা মিলেছিল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর ও হুগলির চুঁচুড়ায়। ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল নদিয়ার চাকদহ, শান্তিপুরে। বাদ যায়নি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও গুমাও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, গুমার এলাকার খ্রিষ্টানপাড়া ও কালিনগরে মাত্র ৩-৪ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল টর্নেডো। দেওয়াল চাপা পড়ে আহত হন ২ জন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে,  তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। হালিশহরে ৪০টি ও চুঁচুড়ায় কমপক্ষে ৪৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আহত হন ৪ জন।


আরও পড়ুন: Trailor Accident: বঙ্গোপসাগরে উলটে গেল ট্রলার! নিখোঁজ ১৮ মৎস্যজীবী


নবান্নে সংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন মু্খ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে পকেটে পকেটে টর্নেডো হচ্ছে। ক্ষতিও হচ্ছে। সবাইকে বলব, বাড়িতে থাকুন। সতর্ক থাকুন'। সেবারও রাজ্যে ঝড় মোকাবিলায় কাজ করেছিলেন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। নবান্নে খোলা হয়েছিল কন্ট্রোলরুম।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)