ওয়েব ডেস্ক: রায়গঞ্জ কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক। এই নিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। দুই আদিবাসী নাবালিকাকে  গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই  অশান্ত রায়গঞ্জ। ভাঙচুর হয় বহু দোকান। ঘটনার প্রতিবাদে ও পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ব্যবসায়ীরাও বনধ ডাকে। সোমবার সকাল থেকে অবশ্য খোলা থাকবে সবকিছু। রবিবারও হয়নি কোনও অশান্তি।রায়গঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে  পুলিস পান্না সরকার ওরফে রাজু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল। রায়গঞ্জের উকিল পাড়ায় ভাড়া থাকত রাজু। এর আগে আরও তিনজন গ্রেফতার হয়।  দুই আদিবাসী নাবালিকাকে  পৌর বাসস্ট্যান্ডে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই  অশান্ত রায়গঞ্জ। অভিযোগ ছিল ছ জনে মিলে গণধর্ষণ করে। এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ। এদিকে বাস কর্মীদের অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ডে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তার দায় এড়াতে পারেনা পুলিস। কারণ যেদিন ধর্ষণে ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ, সেদিন হরতাল ছিল। কোনও কর্মী ছিল না বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু হরতাল থাকায় বাসস্ট্যান্ডে ছিল জোরালো পুলিসি নজরদারি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরেও সদর্থক সাড়া না মিললে পাহাড় নিয়ে নতুন করে ভাববে মোর্চা


শুক্রবারের অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে শনিবারেও। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিক্ষোভের দিন রায়গঞ্জে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ভাঙচুর হয়েছে। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালে ধর্মঘটের ডাক দেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সেই ধর্মঘট রায়গঞ্জ ছিল একরকম অচল।পরে অবশ্য পুলিসি প্রতিশ্রুতিতে ব্যবাসায়ীরা সোমবার সকাল থেকে দোকানবাজার খোলার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা।


আরও পড়ুন  অতিরিক্ত জেলাশাসকের গাড়িতে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল বাস