মনোজ মণ্ডল: একদিকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর অন্যদিকে লাইন বিপত্তি। অফিস টাইমে প্রবল বিপাকে শিয়ালদহ উত্তর শাখার যাত্রীরা। সকাল আটটা আট মিনিটের শিয়ালদহ লোকাল যাওয়ার পর বনগাঁ শাখায় হাবরা ও মসলন্দপুরের মধ্যে আপ লাইন বসে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চালাচল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-হাওড়া থেকে ছাড়ল না বন্দে ভারত, অন্য ট্রেনে রওনা দিলেন রাজ্যপাল ও ক্ষুব্ধ যাত্রীরা 


হাবরা ও মসলন্দপুরের মাঝে সংহতির কাছে বসে যায় আপ লাইন । ফলে বন্ধ করে দিতে হয় ট্রেন চলাচল। খবর পেয়েই চলে আসেন রেলকর্মীরা। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয়ে যায় মেরামতির কাজ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গতকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে এলাকায়। সেই কারণেই মাটি আলগা হয়ে লাইন বসে গিয়েছে।


আপ ও ডাউন লেনে ট্রেন বন্ধ হওয়ার পর অধিকাংশ স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। স্টেশনে আটকে পড়েন শয়ে শয়ে যাত্রী। পৌন দশটা নাগাদ রেলের তরফে জানানো হয়েছে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তবে ওই শাখায় চলাচলকারী বনগাঁ লোকাল, হাবরা লোকালের শয়ে শয়ে যাত্রী ক্রমশ মেজাজ হারাতে থাকেন।


এদিকে, টানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা অচলাবস্থা চলার পর শুরু হল ট্রেন চলাচল। খুব ধীর গতিতে চালানো শুরু হয়ে ট্রেন। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে বলেই রেল সূত্রে খবর।


উল্লেখয, গত ২ আগস্ট কাঁকুরগাছির কাছে লাইনে ধস নামায়  বিঘ্নিত হয় শিয়ালদহ উত্তর শাখায় ট্রেন চলাচল। বাতিল করা হয় ৫ জোড়া ট্রেন। কীভাবে নামল ধস? বিধাননগর রোড স্টেশনের কাছাকাছি কাঁকুরগাছিতে একটি কেবিন তৈরি করছিল পূর্ব রেল। কেবিনের জন্য মাটি কাটা হয়েছিল। লাইন বাঁচাতে লোহার পাত মাটিতে পুঁতে একটি গার্ডওয়াল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি হওয়ার ফলে সেই গার্ডওয়াল ভেঙে মাটি নীচের দিকে ধসে যায়। জায়গাটিতে একটি বিশাল গর্ত হয়ে যায়। সেই গ্রত বালির বস্তা দিয়ে ঢেকে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি ধীর গতিতে ট্রেন চালিয়ে লাইন পরীক্ষা করে দেখা হয়। লক্ষ্য করা হয় লাইন কোনওভাবে বসে যাচ্ছে কিনা বা বাঁকছে কিনা। সেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফের শুরু হয় ট্রেন চলাচল।


এদিকে, টানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা অচলাবস্থা চলার পর শুরু হল ট্রেন চলাচল। খুব ধীর গতিতে চালানো শুরু হয়ে ট্রেন। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে বলেই রেল সূত্রে খবর।