প্রসেনজিৎ মালাকার: গোরুপাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কেষ্ট কন্যার অ্যাকাউন্টে বিদেশি লেনদেন? সুকন্যা মণ্ডলের কাছে ব্যাঙ্কের নথি চেয়ে নোটিশ পাঠাল সিবিআই। এমনকী, বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তদন্তকারীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবারের পুজো জেলেই কাটবে অনুব্রত মণ্ডলের। গোরুপাচারকাণ্ডে জামিনের আবেদন খারিজ। কেষ্টকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের নজরে মেয়ে সুকন্যাও! দিন সাতেক আগে বোলপুরের বাড়িতে কেষ্ট কন্য়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন  তদন্তকারীরারা। সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিকও। বয়ান রেকর্ড করা হয় তাঁর।


আরও পড়ুন: Gold Recovery: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উদ্ধার সাড়ে ৫ কোটির ১১ কেজি সোনা! মালিক কে?


কেন? সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে টাকা-পয়সা নেই। কিন্তু তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে বিভিন্ন কোম্পানিকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের হদিশ মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রতের নামে বেশ কয়েকটি সম্পত্তিও রয়েছে। এই টাকা-সম্পত্তির উৎস কী? কীভাবেইবা আইটি ফাইল করা হয়েছে? অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা করার পর, এবার মেয়ের কাছে ব্যাঙ্কের নথি চাইল। জেরা করা হল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, সুকন্যা মণ্ডলের অ্য়াকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রায় মাধ্যমে লেনদেন হত। বিদেশ থেকে টাকা ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে!



এদিকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। অভিযোগ, টেটে পাস না করেই বোলপুরে বাড়ির কাছেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেয়েছিলেন তিনি। ক্লাস নেওয়া তো দূর অস্ত, একদিনও স্কুলে যাননি! উল্টে হাজিরা খাতা বাড়িতে পাঠিয়ে দিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতে শুধু সই করে দিতেন কেষ্ট কন্যা! কেন? সুকন্য়া মণ্ডলকে যেদিন আদালতে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট, সেদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিজাম প্যালেস থেকে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। সাংবাদিক প্রশ্নে মেজাজ হারান তিনি। বলেন, আপনি কোন হরিদাস পাল? মেয়ের কীভাবে চাকরি হয়েছে, সেটা আদালত বুঝবে। যা বলার আদালতে বলব। আপনি বা আপনাদের কেন বলব'।


বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে সংগঠন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন জেলার নেতারা। সেই কমিটিতে রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা-সহ বেশ কয়েকজন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জেলায় দলের তৃণমূলের সমস্ত কর্মসূচিই পালন করা হবে। অনুব্রত গ্রেফতারি কয়েকদিন পরেই বোলপুরে দলের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক হয়। স্রেফ কমিটি গঠন নয়, সেই বৈঠকে জেলা সভাপতির গ্রেফতারি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খোলার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)