বিজেপিকে জেতাতে প্রচার চালায় তৃণমূলের একাংশই, প্রকাশ্যে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ অভিযোগ অনুব্রতর বৈঠকে
ফল খারাপের কথা জিজ্ঞাসা করতেই তৃণমূলের বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল বলেন, `সাংবাদিকদের সামনেই বলব? নাকি আপনাকে পরে বলব?`
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে তলায় তলায় ভোট প্রচার করেছেন তৃণমূল ব্লক যুব সভাপতি। এদিন প্রকাশ্য কর্মিসভায় অনুব্রত মণ্ডলের সামনে অভিযোগ করেন দলেরই প্রধান৷ লোকসভায় লিড দিতে না পারায় প্রকাশ্য সভা থেকেই সাঁইথিয়ার দেরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে সরিয়ে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিন সাঁইথিয়ার জালিবাগান মাঠে তৃণমূলের প্রকাশ্য কর্মিসভা ছিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ প্রমুখ। লোকসভা নির্বাচনে এই সাঁইথিয়া বিধানসভায় বিজেপির লিড ছিল। তাই দলের প্রত্যেক কর্মীকে এক এক করে ফল খারাপের কারণ জিজ্ঞাসা করেন অনুব্রত মণ্ডল। ফল খারাপের জন্য দলের একাধিক নেতা এদিন আর্থিক দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
সাঁইথিয়ার দেরিয়াপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বলরাম মণ্ডল প্রকাশ্যে পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে দল বিরোধী একাধিক অভিযোগ তোলেন। এরপরেই মঞ্চ থেকে প্রধান মিঠু বিত্তারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অনুব্রত মণ্ডল।
অন্যদিকে, ফল খারাপের কথা জিজ্ঞাসা করতেই তৃণমূলের বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল বলেন, "সাংবাদিকদের সামনেই বলব? নাকি আপনাকে পরে বলব?" মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "সাংবাদিকদের সামনেই বল, আমার কিছু যায় আসে না।" এরপরেই পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, "আপনার পাশে মঞ্চে বসে আছে ওই সাঁইথিয়ার যুব সভাপতি অরবিন্দ ব্যানার্জি। ভোটের দিন বলে বেরিয়েছে তিন নম্বর (লোকসভা ভোটে বিজেপির দুধকুমার মণ্ডল তিন নম্বরে বোতাম ছিল) ভোট দিন।"
আরও পড়ুন- একই পরিবারে ৩ জনকে নৃশংস খুন গঙ্গারামপুরে, গ্রেফতার এক
দলের নেতারাই ভোটের দিন বিজেপির দুধকুমার মণ্ডলকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার করেছিল। অনুব্রত মণ্ডলের সামনে এমনই ভূরিভূরি অভিযোগ এদিন উঠে আসে। এদিন বিজেপি ছেড়ে বেশ কিছু জন অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন।