নিজস্ব প্রতিবেদন: সংগঠন মজবুত করতে ফের তপশিলি জাতি উপজাতিদের দিকে নজর বাড়াল তৃণমূল। প্রতি বিধানসভা থেকে ৫ জন তপশিলি জাতির কর্মী এবং ৫ জন তপশিলি উপজাতির কর্মীর নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ পৌঁছল বিধায়কদের কাছে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবারের মধ্যে তপশিলি জাতিভূক্ত ৫ জন কর্মী এবং তপশিলি উপজাতিভূক্ত ৫ জন কর্মী-সহ মোট ১০ জনের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর জমা দিতে হবে দলের কাছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দলীয় সূত্রে খবর, এর আগেও প্রতি এলাকার তপশিলি জাতি ও উপজাতিভূক্ত কর্মীদের নাম নেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, এদের মধ্যে একজন সোশ্যাল মিডিয়া সামলাবেন, একজন বিধায়কের সঙ্গে পার্টির সংযোগ বজায় রাখবে এবং বাকি ২ জন ওই বিধানসভা এলাকার বুথ ভিত্তিক সংগঠনে নজর রাখবে। এবার ফের সেই পরিকল্পনা পুনঃনির্মাণে ফের বুথ পিছু ১০ জন বাছাই প্রার্থীর নাম চেয়ে পাঠাল তৃণমূল হাইকম্যান্ড। তবে সেটা শুধুমাত্র জাতি-উপজাতিভুক্ত হতে হবে।


আরও পড়ুন: অনুমোদনহীন কর্মী নিয়োগ নয় পৌরসভায়, কড়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন


ইতিমধ্যেই বেড়েছে দলবদলের হিড়িক। সবমিলিয়ে নড়বড়ে সংগঠন। আর একুশের বিধানসভাকে মাথায় রেখে সেই হারানো জমি ফিরে পেতেই ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯-এর লোকসভা ভোট তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ব্যাপক ধস নেমেছে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে। অনগ্রসর শ্রেণির মন জিততে তাই ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। দিন কয়েক আগে দিল্লিতে রবিদাস মন্দির ভাঙায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন তিনি। আর এবার এবার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সংগঠন মজবুত করতে বাছাই করা কর্মীদের নিয়োগ করতে চাইছে তৃণমূল, এমনই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।