নিজস্ব প্রতিবেদন:  তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের সভায় যোগই দিলেন না জেলার ৫ বিধায়ক ও একমাত্র সাংসদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কোচবিহার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির গঠন কে ঘিরে তীব্র ক্ষোভ তৃণমূলের অন্দরে। কোচবিহার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনে দেখা গেলো না দলের ৫ বিধায়ক ও একমাত্র সাংসদকে। দল এককভাবে নিজের মতো করে চালাচ্ছেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। জেলাপরিষদের স্থায়ী সমিতিতে বিধায়ক ও সাংসদরা থাকেন। এসব ঠিক থাকলেও আজ দলের ৫ বিধায়ক ও একমাত্র সাংসদ অনুপস্থিত। বিধায়কদের কয়েকজন অবশ্য দাবি করেছেন স্থায়ী সমিতি গঠনে তাঁদের সাথে কোনও আলোচনা করেননি দলের জেলা সভাপতি। এই অভিযোগ তুলেই আজ বিধায়করা যাননি বলেও খবর। দলে যে ক্ষোভ বাড়ছে তাঁর বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন- ‘শুভেন্দুর জন্যই তৃণমূল আমাকে নিচ্ছে না’ 


এই প্রসঙ্গে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ জানান, “শুধু হাত তোলার জন্যে গিয়ে কি হবে”? কোচবিহার দক্ষিণ বিধান সভার বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানিয়েছেন, “স্থায়ী সমিতির গঠন নিয়ে তাঁর সাথে কোনো আলোচনা করেননি দলের সভাপতি। তাই সেখানে যাওয়া না যাওয়া সমান”।


আরও পড়ুন- রথের নামে বানানো হয়েছে পাঁচ তারা হোটেল, বিজেপিকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর


যদিও জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এদিন জানিয়েছেন জেলার সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতির নাম যেমন রাজ্য নেতৃত্ত্ব ঠিক করে দেন তেমনই  কর্মসমিতি ও স্থায়ী সমিতি তৈরী করে জেলার দলের সভাপতি। তবে রবিবাবুর এই মন্তব্য মানতে চাননি দলের বিধায়করা।


আরও পড়ুন- ‘পাচন দাওয়াই, সঙ্গে মোটা আখের চাষ’, বিজেপি শায়েস্তা করতে ফের অভিনব নিদান কেষ্টার


আজকের বৈঠকে দলের বিধায়ক উদয়ন গুহ, মিহির গোস্বামী , ফজল করিম মিয়া, অর্ঘ্য রায় প্রধান ও বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন এবং সংসদ পার্থপ্রতিম রায় অনুপস্থিত ছিলেন। জেলাপরিষদ সভাধিপতি হিসেবে আব্দুল জলিল আহমেদের নাম বাদ যাবার পর তীব্র ক্ষোভ দেখায় জলিল বাবুর সমর্থকরা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও স্লোগান তোলে জলিল বাবুর ঘনিষ্টরা। এরপর নড়েচড়ে বসে রাজ্য নেতৃত্ব। করা ভাষায় ভর্ত্সনা করে দল। পাশাপাশি জলিল বাবুর ঘনিষ্ট রশিদুল হককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় ।