নিজস্ব প্রতিবেদন : জলসার আসর থেকে হাইভোল্টেজ রাজনীতির মঞ্চ, 'টুম্পা সোনা'য় মাত সকলে। ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড উপলক্ষে 'টুম্পা ব্রিগেড চল' সুর বেঁধেছে বামেরা। সেই 'টুম্পা সোনা' গান এবার শোনা গেল কেশপুরে (Keshpur) বাম-কংগ্রেসের মহামিছিলে। এদিন ব্রিগেডের সমর্থনে মহামিছিল করে বাম, কংগ্রেস। সেখানেই 'টুম্পা সোনা' গান শোনা যায়, আর তাকে কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি বিজেপি শিবিরও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, পেট্রোল-ডিজেলের মতো পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক কেন্দ্রীয় জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্রতর করার লক্ষ্যে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম নেতৃত্ব। সেই ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে কেশপুরে এদিন মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিআইএম (CPIM)। সেই মিছিলে পা মেলায় কংগ্রেসও (Congress)। উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কেশপুরে ক্রমাগত জমি হারিয়েছে বামেরা। একাধিক পার্টি অফিস কার্যত তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এখন কেশপুরে (Keshpur) নিজেদের সেই হারিয়ে জমি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া বাম শিবির।  আর সেই লক্ষ্যেই কেশপুরে মহামিছিলের আয়োজন। 


এদিন মহামিছিলে অংশ নেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা, প্রাক্তন বাম বিধায়ক রামেশ্বর দলুই সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। মিছিলে যোগ দেন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীরাও। বাম-কংগ্রেসের মহামিছিল উপলক্ষে এদিন কেশপুর বাজার থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। মিছিল ঘিরে এদিন দলীয় কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। মিছিলে মাইকে বাজতে শোনা যায় 'টুম্পা সোনা' গানও।


এদিকে বাম-কংগ্রেসের মহামিছিলে 'টুম্পা সোনা' গান বাজানোকে কটাক্ষ করে বিজেপি (BJP) শিবির। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শিবু পাণিগ্রাহী বলেন, "এসব গান রুচিতে  বাধে। বামফ্রন্ট তাদের আদর্শ-নীতি সবই বিসর্জন দিয়েছে। কংগ্রেস তো আগেই বিসর্জন দিয়েছিল। এখন দু'দল এক হয়েছে। তাদের মুখেই এই সব গান মানায়। আমাদের এসব বলতে রুচিতে বাধে।" একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, একুশের নির্বাচনে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস কেউ স্থান পাবে না। বিজেপি-ই সরকারে আসবে।


অন্যদিকে মিছিল প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, "কেশপুরে সিপিআইএম মিছিল করেছে, ভালো কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার পর গণতান্ত্রিক পরিবেশে সবাই এখন হাত-পা ছুঁড়ে নাচছেন। এটা তো আগে কখনও ছিল না। এখন ভোটের পর তৃণমূল সরকারে থাকবে না, এটা বলার আগে নিজেরা ঠিক করুক যে দলটা থাকবে কিনা! লোকসভায় তো দলটা প্রায় উঠে গিয়েছিল, এখন তাও মিটিং-মিছিল করছে। আগে ওরা নিজেদের ভোটটা বন্ধক দেবে না বিক্রি করবে, সেটা ঠিক করুক, পরে তৃণমূলের সমালোচনা করবে।"


আরও পড়ুন, 'এক সুতোয় জুড়ল কলকাতার দুই কালীক্ষেত্র', দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর উদ্বোধন মোদীর


বাংলার মেয়ে' Mamata -কে বিঁধতে PM Modi-র মুখে 'বঙ্গাল কি বেটি'