সোমা মাইতি: অধীর গড়ে ধাক্কা কংগ্রেসে। রানিনগর কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল। স্থায়ী পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের আগে বাম-কংগ্রেস জোট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ২ সদস্য। সমিতির মোট ২৭ আসনের মধ্যে ১৩ আসন দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, ১৪ আসন পায় বাম-কংগ্রেস জোট। এখন জোটের ২ সদস্য তৃণমূলে চলে যাওয়ায় জোটের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১২। অন্যদিকে তৃণমূলের আসন বেড়ে হল ১৫। ফলে এখন ম্য়াজিক ফিগারে তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'লেনিনের এতবড় মূর্তি; ওঁর কী অবদান আছে আমাদের জীবনে, কোনও দরকার নেই এসব থাকার'


আগামিকাল রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের দিন ঠিক হয়েছিল। তার ঠিক একদিন আগে বাম-কংগ্রেস শিবির বড়সড় আঘাত হানল ঘাসফুল শিবির। রবিবার রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন ও তৃণমূলে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শাওনী সিংহরায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির ২ সদস্য এবং কাতলামারি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১৫ জন। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেসের সসদ্য সদস্যসংখ্যা হল ১২। অর্থাত্ ১১ তারিখ স্থায়ী সমিতি গঠনের আগেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করা তৃণমূলের কাছে এখন সময়ের অপেক্ষা।


ভোটে সংখ্যা গরিষ্ঠতা জোট পেলেও স্থায়ী সমিতি গঠনের আগে তৃণমূলে যে বাম-কংগ্রেস জোটে ভাঙন ধরাতে পার আশঙ্কা আগেই করেছিলেন অধীর চৌধুরী। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জেতা ও সভাপতি কুদ্দুস আলি বর্তমানে জেলে রয়েছেন। থানা ভাঙচুরের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনাকেই তৃণমূলের তৈরি করা একটি ব্লু প্রিন্ট বলে মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।


এরকম দলবদল নিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, যাদের দলবদল করার ইচ্ছে হয়েছে তারা তা করেছে। কেউ গোরু ছাগল হতে চাইলে আমি আর কী করতে পারি!


কংগ্রেস ত্যাগী সদস্যদের দাবি, নির্বাচনে জিতে তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতি গঠনও করেছিলেন ঠিকই কিন্তু তার পরে তাদের মনে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হলে তারা সমিতিতে অনেক কাজ করতে পারবেন। তাই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য়, একের পর এক চারদিকে হার হচ্ছে। পায়ের তলারা মাটিটাও সরে গিয়েছে। ধূপগূড়িতেও হার হয়েছে। সবকিছু উনি এখন কী বলছেন ও আর কী করছেন তার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকছে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উসকানিতে যেভাবে রানিনগর থানায় আক্মাণ করা হল তা আমাদের কর্মকাণ্ড নয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নেতৃত্বে থানা আক্রমণ করা হচ্ছে। ভেবে দেখন কেমন নেতা তৈরি করেছেন প্রদেশ  কংগ্রেস সভাপতি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)