Sukanta Majumdar: 'লেনিনের এতবড় মূর্তি; ওঁর কী অবদান আছে আমাদের জীবনে, কোনও দরকার নেই এসব থাকার'
Sukanta Majumdar: এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আসলে দিলীপবাবু দলে কলকে পাচ্ছেন না। ফলে যত দিন যাচ্ছে তিনি এমনসব কথা বলছেন যা মধ্যে কোনও যুক্তিবুদ্ধি নেই। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াইতে কি আরএসএস ছিল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিলীপ ঘোষের পর এবার সুকান্ত মজুমদারের মুখে মূর্তি সওয়াল। পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত। যারা বলছেন এটা করার কোনও অর্থ হয় না তারা কি বলবেন নেতাজিও ভুল করেছিলেন? ব্রিটিশদের স্মৃতিসৌদ্ধ ভেঙেছিলেন সুভাষচন্দ্র। লেনিনের এত যে মূর্তি? কী অবদান আছে লেনিনের? লেনিনের সঙ্গে ভারতের আত্মার যোগ নেই। তার থেকে রবি ঠাকুরের বড় মূর্তি বানাব আমরা। মূর্তি বানাব বিবেকানন্দ, রাজ রামমোহনের। এমনটাই বললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন-অর্থোপেডিক সার্জারি নিয়ে কড়াকড়ি! স্বাস্থ্যসাথীতে খরচ কমাতে মরিয়া রাজ্য
সুকান্ত মজুমদার রবিবার বলেন, পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত। যে দোষে আপনারা বিজেপিকে বা দিলীপ ঘোষকে দোষী করছেন সেই দোষ কি দোষী নেতাজি? সিঙ্গাপুর নেতাজি ইংরেজদের একটি স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলেছিলেন। তাহলে নেতাজি কি ভুল কাজ করেছিলেন? পরাধীন মানসিকতাকে ভাঙতে হবে। লেনিনের এত বড়বড় মূর্তি দেখা যায়। আপনার জীবনে লেনিনের কী অবদান রয়েছে? আমার জীবনে তো নেই। আমার পূর্বপুরুষের জীবনে লেনিনের কোনও অবদান ছিল না। কোনও দরকার নেই এগুলো থাকার। তার থেকে বড় মূর্তি বানাব রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দের। কিন্তু আমার শহরে সবচেয়ে বড় মূর্তিটা লেলিনের।
সুকান্তর আগে মূর্তিভাঙা নিয়ে সওয়াল করেছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, কোথাও ব্রিটিশ, কোথাও মোঘল, কোথাও পর্তুগিজরা যারা আমাদের দেশকে এক হাজার বছর পরাধীন করেছিল তাদের কোনও স্মৃতিচিহ্ন ভারতে থাকবে না। কোনও বাপের বেটার হিম্মত থাকলে রুখুক। কলকাতার রাস্তাঘাটে বহু ব্রিটিশের মূর্তি ছিল। একটা দুটো এখনও রয়েছে। সব উপড়ে ফেলব আমরা। ওইসব মূর্তি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রাখা হবে। বিজেপি একবার ক্ষমতায় আসুক। গোলামির চিহ্ন রাস্তায় থাকবে না। আমাদের ছেলেপুলেরা সকালে উঠে ওদের মুখ দেখবে?
এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আসলে দিলীপবাবু দলে কলকে পাচ্ছেন না। ফলে যত দিন যাচ্ছে তিনি এমনসব কথা বলছেন যা মধ্যে কোনও যুক্তিবুদ্ধি নেই। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াইতে কি আরএসএস ছিল? নাকি দালালি করেছেন? মুচলেখা দিয়েছে।
বিজেপি নেতাদের ওই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, সুজনবাবুদের মনে করিয়ে দিয়ে তাদের দলই বলেছিল ইয়ে আজাদি ঝুঠা হ্যায়। তারা আবার বড়বড় কথা বলে। দিলীপবাবুর দল বৃটিশদের কাছে নাকখত্ দিয়েছিল, বৃটিশদের কাছে যে মুচলেখা দেয় সেই সাভারকারকে তারা নেতা করেছে। তাদের মুখে এই ধরনের কথা শোভা পায় না।