নিজস্ব প্রতিবেদন: পরপর ২টি কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়া। এটাই ছিল ‘অপরাধ’। এর জন্যবউমার ওপর চরম অত্যাচার তো আগে থেকেই ছিল, এবার বড় নাতনিকেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দাদু, ঠাকুমার বিরুদ্ধে। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও এমনই নক্কারজনক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের সুভাষগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়েকবছর আগে সুমন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় সবিতা দাসের। সবিতার প্রথম পক্ষের একটি মেয়ে ছিল। অভিযোগ, দ্বিতীয়বারও মেয়ে হওয়ায়, তাঁর উপর নির্যাতন শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযোগ, নিত্যদিনই কোনও না কোনও ইস্যুতে অশান্তি হত। মাঝেমধ্যেই সবিতাকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনের এসি কামরায় ছাত্রীর শ্লীলতাহানি


সোমবার রাতে তা চরমে পৌঁছয়। দাস বাড়ি থেকে মাঝেমধ্যেই চিত্কার চেঁচামেচি শুনতে পেতেন প্রতিবেশীরা। নিত্য অশান্তির আওয়াজ তাঁদের কাছে পরিচিতই ছিল। তাই সোমবার রাতেও প্রথমে খুব একটা আমল দিতে চাননি তাঁরা। কিন্তু সবিতার বড় মেয়ের আর্তনাদ শুনেই টনক নড়ে তাঁদের। সবিতার বাড়িতে গিয়ে দেখেন সবিতার বড় মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে গায়ের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন সবিতারও। গোটা বিষয়টি বুঝতে খুব বেশি দেরি হয়নি প্রতিবেশীদের।  থানায় খবর দেন তাঁরাই।


আরও পড়ুন: প্রেমের অভিনয়, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে গৃহবধূকে ফুঁসলিয়ে পাচার যুবকের


সোনারপুর থানায় সবিতার শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক।


কিন্তু এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে সমাজব্যবস্থা। যেখানে এখন ছেলেদের সঙ্গে প্রতি পদক্ষেপ মিলিয়ে চলছে মেয়েরা, সেই সমাজেই কীভাবে এই ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ছে? এই ঘটনা আবার প্রশ্ন তুলল কবে ‘কন্যাসন্তান’ নামক শব্দটিকে কেউ ছোটো চোখে দেখবে না?