নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদে  আজ ও আগামিকাল দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। ধর্মঘটে সামিল আইএনটিইউসি ও সিটু সহ আঠেরোটি বাম শ্রমিক সংগঠন। ব্যাঙ্ক, অফিস, পরিবহণের ওপর এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে। যদিও রাজ্যে ধর্মঘটের মোকাবিলায় কড়া অবস্থান নিয়েছে সরকার। জোর করে বনধ্ করাতে গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে লালবাজার। রাস্তায় কোথাও কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে একশো নম্বরে ডায়াল করলে দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শহর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - বনধ হবে? মমতা বললেন ‘না’


বনধ হচ্ছে না, সোমবার নবান্নতে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গল-বুধের বনধ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে নবান্ন। শক্ত হাতে বনধ মোকাবিলায় প্রত্যেক আইজি, এডিজি, ডিভিশনাল কমিশনারদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৮ ও ৯ জানুয়ারি জোর করে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও অফিস বন্ধ করা যাবে না। খোলা রাখতে হবে সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, কারখানা। বনধে কোনও ভাবেই যাতে জনজীবন বিপর্যস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক ও রেল পরিবহণ স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি তত্পরতা। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস এবং রেলের সম্পত্তিও রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।


আরও পড়ুন - বন্ধুর জন্মদিন থেকে ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই যুবকের


বনধে বাংলাকে সচল রাখতে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর আশ্বাস দিয়েছেন, ''ধর্মঘটের দু'দিন পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে। বাড়ি থেকে বেরোনোর পর গাড়িও মিলবে''। আজ ও কাল অতিরিক্ত ৫০০টি বাস নামানো হবে । সব ডিপোতে থাকবে বাড়তি বাস। ট্রাম ও ভেসেল পরিষেবা ২০-৩০ শতাংশ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ধর্মঘটের দিন বাস-গাড়ি ভাঙচুর হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার বিবরণ দিয়ে দায়ের করতে হবে এফআইআর। সেই তথ্য-সহ ৭২ ঘন্টার মধ্যে WBTIDCL-তে জানাতে হবে। তাহলে ক্ষতিপূরণ মিলবে। কসবা এবং পরিবহণ ভবনে থাকছে কন্ট্রোল রুম। জেলায় জেলায় পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর 8902017191, যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানাতে পারেন। শুধু বাস গাড়ি নয়, পরিবহণ কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পাবেন আর্থিক সহযোগিতা।