নিজস্ব প্রতিবেদন: কোন্নগর  নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত দুই ছাত্রের ২ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল শ্রীরামপুর আদালত। ধৃত ছাত্রদের নাম সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার। এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিকেও শোকজ করেছে তৃণমূল।  অধ্যাপক নিগ্রহকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বৃহস্পতিবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি ঘটনার বিবরণ শোনেন ও তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। এরপরই জি২৪ঘণ্টার প্রতিনিধিকে একান্ত সাক্ষাত্কারে অধ্যাপক সুব্রতবাবু  জানিয়েছিলেন, “আমি এখন অপেক্ষা করছি। আমি দেখতে চাই, আজ অভিযুক্ত দুজন বেল পেয়ে যায় কিনা। যদি বেল পেয়ে যায়. তাহলে বুঝতে হবে কথা দাম নেই।” মুখ্যমন্ত্রী সুব্রতবাবুকে নিশ্চিতে কলেজে যাওয়ার আশ্বাস দেন।


এদিন বেলায় কলেজে যান সুব্রতবাবু। তার কিছু পরেই কলেজে উপস্থিত হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।  তাঁরা প্রথমেই  সুব্রতবাবুর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান।  এমনকি তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন প্রবীর ঘোষাল। এই ঘটনার পিছনে কে রয়েছে তা অধ্যাপকের কাছে জানতে চান। কিন্তু প্রথমে অধ্যাপক তাঁর নাম নিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি যদি তাঁর নাম নিই, আমার কাল থেকে কলেজে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে।” এরপর তিনি সুব্রতবাবুকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। কে কত বড় দাদা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আমি নামটা বলুন।”


কোন্নগরে অধ্যাপক নিগ্রহকাণ্ডে অভিযুক্ত কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিককে শোকজ তৃণমূলের


এরপরই সুব্রতবাবু বলেন, “কাউন্সিলর তন্ময় দেব  প্রামাণিক যখন তখন কলেজে ঢুকে হম্বিতম্বি করেন। ছাত্রদেরকে অধ্যাপকদের পেটানোর জন্য ও কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য উস্কানি দেন। গতকাল তাঁর নির্দেশেই ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমার ছাত্ররা এমনিতে তেমন নয় যে অধ্যাপকের গায়ে হাত তুলবে। গতকাল বহিরাগতের নির্দেশেই এমনটা হয়েছে।”


অধ্যাপকের কাছ থেকে সবটা শোনার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল। অভিযুক্ত কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিককে শোকজ করা হয়।