নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। প্রশাসনিক আধিকারিকদের পর মাথাভাঙার কিশোরীর বাড়িতে রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বললেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। সবরকম সাহায্যে আশ্বাস দিলেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাতায়-কলমে ৭৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী। সরকারি সার্টিফিকেটও আছে। কিন্তু দিনমজুর বাবা সামর্থ্য নেই মেয়ের চিকিত্‍সা করানোর। খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছিল মাথাভাঙার কিশোরী ঝিলিক বর্মনকে। মা সুচিত্রা বর্মন জানিয়েছেন, কথাবার্তা বলতে পারলেও ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে না ঝিলিক। হাত-পা শীর্ণকায়, বেঁকে গিয়েছে কোমর। যখন-তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যায়। রাস্তার নোংরা খেয়ে ফেলে। সেকারণেই তাকে খাঁচাবন্দি করে রাখতে বাধ্য হয়েছেন। 


আরও পড়ুন: তিন আদিবাসী নাবালিকার রহস্য মৃত্যু, পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ


গতকাল এ খবর সম্প্রচারিত হয় জি ২৪ ঘণ্টায়। বেলা গড়াতেই ওই কিশোরীর বাড়িতে পৌঁছে যায় প্রশাসনের প্রতিনিধিদল। পরিবারের  পাশে  থাকার আশ্বাস দেন পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও ও শিশু সুরক্ষা  কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। ওই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও।



ঘড়িতে তখন পৌনে এগারোটা। এদিন সকালে মাথাভাঙায় ঝিলিক বর্মনের বাড়িতে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সঙ্গে আর এক প্রাক্তনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন দু'জনে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, 'রাজ্যের শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা ও কোচবিহারের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই কিশোরীকে বহরমপুরের মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে'। এমনকী, মায়ের জন্য় সেলাই  মেশিন ও পাকা বাড়িও তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)