নিজস্ব প্রতিবেদন:  হেলমেট না পরেই দাদার স্কুটির পিছনে বসে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। হেলমেট না থাকায় পিছন থেকে টান দেন এক সিভিক পুলিসকর্মী। স্কুটি থেকে পড়ে যায় দুই ছাত্রীই। উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় তাদের মাথা। ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক পরিণতি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নদিয়ার কালীগঞ্জ। পুলিস-জনতা খণ্ডযুদ্ধ, পুলিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে সিভিক পুলিসের তোলা আদায়!



সোমবার সকালে নাজিমা খাতুন ও মাসুদা খাতুন দাদা সাইদুল শেখের স্কুটিতে চেপে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। দেবগ্রামের কাছে আচমকাই তাদের স্কুটি পিছন থেকে টেনে ধরেন এক সিভিক পুলিসকর্মী। চলন্ত স্কুটিতে আচমকাই পিছন থেকে টান পড়ায় ছিটকে পড়ে যান নাজিমা ও মাসুদা। সেইসময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় তাদের মাথা। রক্তাক্ত অবস্থাতে কাতরাতে থাকে দুই ছাত্রী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় নাজিমা-মাসুদার। স্কুটি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন সাইদুলও। তাঁকে উদ্ধার করে দেবগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও পড়ুন: কপালে সিঁদুর, মধুচন্দ্রিমায় এসে হোটেলের রুমেই লাল শাড়িতে গলায় ফাঁস নবদম্পতির!


এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিস। এলোপাথাড়ি ইট ছুড়তে থাকে উন্মত্ত জনতা। ইটের আঘাতে আহত হন এক পুলিসকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে। এখনও থমথমে এলাকা। রয়েছে পুলিস পিকেট।মেধাবী মেয়েদের নিয়ে যে স্বপ্ন বুনেছিল নাজিমা, মাসুদার পরিবার, তা যে এইভাবেই ধূলিসাত্ হতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ।