নাবালিকা দুই বোনকে গণধর্ষণ, হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই মৃত দিদির বিচার চাইছে বোন
অন্য হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছোট বোন। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার দুই বোন। লোকলজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জে। কীটনাশক খেয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দিদির। অন্য হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছোট বোন। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজগঞ্জের নবগ্রাম এলাকার এক চা বাগানের কর্মীর দুই মেয়ে কাকার বাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় তাদের পথ আটকায় পাশের গ্রামের কিছু যুবক। অভিযোগ, সেখানে গনধর্ষণের শিকার হয় নাবালিকা দুই বোন। এরপর সামাজিক লজ্জার ভয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর দুই বোন মিলে কীটনাশক খেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মী হয়ে গিয়েছে পুলিস, মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুললেন রাজ্যপাল
পরিবারের লোকেরা তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই বড় বোনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নির্যাতিত ছোট বোন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নির্যাতিতা জানান-- "বাপি, শিবু এবং আরও কয়েকজন মিলে আমাদের ধর্ষণ করেছে। দুজন মিলে আমাকে জড়িয়ে ধরে অত্যাচার করে। ঝিলন, শিবুরা আমার দিদি হাত ধরে বাগানে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। আমি আমার জান বাঁচিয়েছি। কিন্তু দিদিকে বাঁচাতে পারলাম না।''
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের বিছানায় শুয়েই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন ছোট বোন। এদিকে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজগঞ্জের সন্নাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রাম এলাকায়। নির্যাতিতাদের পরিবারের পাশে দাড়িয়ে স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় দোষীদের শাস্তি দিতে জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন। পক্সো আইনে ধৃত রাজগঞ্জ নাবালিকা ধর্ষনে অভিযুক্ত ৩ জনের ৭ দিনের পুলিস হেফাজত হয়েছে বলে জানান সরকারী আইনজীবী।