নিজস্ব প্রতিবেদন: নকল সোনার কয়েন আসল বলে বিক্রি করে হাতিয়ে নেওয়া হল কয়েক লাখ টাকা। ঘটনাটি রানাঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজারের। একটা দুটো নয়, ৯৫টি ভুয়ো সোনার কয়েন বিক্রি করার অভিযোগ উঠল ওই দুজনের বিরুদ্ধে। হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-‘প্রয়োজনে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব’, উন্নয়ন ইস্যুতে বার্তা জন বার্লার


মাসখানেক আগে রানাঘাট(Ranaghat) ১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর শঙ্কর অধিকারীর সঙ্গে পরিচয় হয় গোপাল সরদার নামে এক যুবকের। তার বাড়ি বীরভূমের লাভপুরে। আলাপের পরই শঙ্কর অধিকারীর কাছে সোনার কয়েন বিক্রির প্রস্তাব দেয় গোপাল সরদার। প্রথমে কিনতে না চাইলেও পরে একটি কয়েন কিনে নেন শঙ্কর।


শঙ্কর অধিকারীর অভিযোগ, পরে ধাপে ধাপে তিনি গোপালের কাছ থেকে মোট ৯৫টি স্বর্ণমুদ্রা কেনেন। এর জন্য দিতে হয় মোট ১২ লাখ টাকা। গোপাল সরদারের সঙ্গে ছিলেন শ্যাম মুর্মু নামে তার এক সঙ্গী।


এদিকে, ওই বিপুল টাকায় সোনার কয়েন কিনে টনক নড়ে শঙ্কর অধিকারীর। তিনি সোনার দোকানে গিয়ে ওইসব সোনার কয়েনগুলি(Gold Coin) যাচাই করেন তা আসল সোনার কিনা। তখনই জানতে পারেন ওইসব কয়েন একেবারেই জাল। এর পরই রানাঘাট থানায় পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন শঙ্করবাবু। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 


আরও পড়ুন-ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কী পদক্ষেপ? ‘আস্তে আস্তে সব বলব’, নিশীথের উত্তরে বাড়ছে জল্পনা


শঙ্কর অধিকারীর স্ত্রী জানান, ওই সোনা কেনার কারণ আমাদের ২ মেয়ে বিবাহযোগ্যা হয়ে উঠেছে। ওইসব কয়েন দিয়ে দুই মেয়ের অলঙ্কার বানানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এভাবে প্রতারিত হতে হবে কল্পনাও করতে পারিনি। আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম। অন্যদিকে, শঙ্কর অধিকারী বলেন, সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রশাসনের ওপর আস্থা আছে। তদন্ত করে দ্রুত সমাধান হোক। অভিযুক্তরা ধরা পড়ুক।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)