জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে হাসিনা সরকার পতনের পরই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসে। জানা যায়, শতাধিক জঙ্গিকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি অসম এসটিএফের জালে নিষিদ্ধ গ্লোবাল টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশনের ৮ জন সদস্য ধরা পরার যে তথ্য উঠে এসেছে তার রীতিমতো উদ্বেগজনক। আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট অনুপ্রাণিত আনসার উল বাংলাটিম এদেশের বিভিন্ন রাজ্য তাদের জাল ছড়ানোর চেষ্টা করছে গোপন সূত্রে তা জানতে পারে অসম পুলিস। জঙ্গি কার্যকলাপে রাশ টানতে লন্চ করা হয় অপারেশন প্রঘাত। ১৭-১৮  ডিসেম্বর অসম, কেরলা ও পশ্চিমবঙ্গ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট অনুপ্রাণিত আনসার উল বাংলাটিমের ৮ জন সদস্যকে। যাদের মধ্যে মূল চাই হিসাবে কেরালা থেকে ধরা পডেছে বাংলাদেশের মহম্মদ শাদ রাজি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Physical Assault of Minor: OTP খুঁজতে ঘরে ঢুকতেই নাবালিকাকে! শ্রীরামপুরে গ্রেফতার অনলাইন সংস্থার ডেলিভারি বয়...


জালে ধরা পড়েছে মুর্শিদাবাদে হরিহরপাড়ার দুই বাসিন্দা। ধৃতদের জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে এদেশের বিভিন্ন রাজ্য এবিটির স্লিপার সেল সক্রিয় করার জন্য চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শাদ রাজিকে এদেশে পাঠানো হয়। তাকে সেই কাজ দিয়ে পাঠায় বর্তমানে আনসার উল বাংলা টিমের চিফ জসিমুদ্দিন রহমানির ঘনিষ্ঠ ফারহান ইসরাক। ভারতে এসে প্রথম কেরলাতে আশ্রয় নেয় শাদ। কোনো বৈধ নথি ছাড়াই ভারতে অনুপ্রেবশ ঘরে শাদ। কেরালা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম একাধিকবার সফর করে। 


অল্প বয়সী যুবকদের এবিটিতে নিয়োগ, বৈঠকরে আয়োজন, অপারেশনাল ইউনিট তৈরির ইত্যাদির উদ্দেশ্যে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় একাধিক বৈঠক করে শাদ। মুর্শিদাবাদে তার থাকার ব্যবস্থা থেকে স্লিপার সেল তৈরি কাজে শাদকে সাহায্য করে হরিহরপাড়া থেকে ধৃত দুজন। ধৃত ওই দুজনের মধ্যে একজন পাম্প মিস্ত্রি, অন্য জন ইমাম। তদন্তে প্রচুর জেহাদি পত্র-পত্রিকা, মোবাইল, ডিজিটাল এভিডেন্স মিলেছে। ধৃতদের সঙ্গে বাংলাদেশের ও পাকিস্তান বর্ডার থেকে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে গত কয়েক মাসের লাগাতার কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে। অসম থেকে ধৃত নুর ইসলাম মন্ডল ও মাজিবুর ইতিমধ্যেই অসমে একটি স্লিপাল সেল তৈরি করে ফেলেছিল। যা বাংলাদেশে বসে সরাসরি নিযন্ত্রণ করতো ফারহান ইসরাক। এরাজ্যে স্লিপার সেল তৈরি করতে নুর ও মাজিবুরও একাধিকবার মুর্শিদাবাদে আসে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তদন্ত আরও জানা গিয়েছে স্লিপার সেল তৈরি পাশাপাশি এবিটির এই মডিউলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরএসএসের নেতাদের চিহ্নিত করে হামলা করা, দাঙ্গা বাঁধিয়ে অশান্তি লাগানো।


আরও পড়ুন: Vegetable Cultivation: লাগে না কীটনাশক ও সার, জল দেয় যন্ত্র! 'স্মার্ট বাগানে' ফলছে তাজা সবজি...


প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের মাথার উপর থেকে সরছে না জঙ্গির ছায়া। জম্মু-কাশ্মীরে আবারও সাফল্যের সঙ্গে জঙ্গিদমন করল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার ৫ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করল তারা। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় বৃহস্পতিবার ভোরে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় এই জঙ্গিদের। ভারতীয় সেনার কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে, কুলগামের খাদ্দের এলাকায় কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। সেই মতো শুরু করা হয় তল্লাশি অভিযান। ভারতীয় সেনার সঙ্গে যৌথ ভাবে পুলিসও চালিয়েছিল এই অভিযান। তাতেই আসে সাফল্য। নিহত হয় ৫ জঙ্গি। তবে কুলগাম এবং খাদ্দের এলাকায় আরও কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান এখনও জারি। কুলগাম এলাকার জঙ্গল থেকে এখনও গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে বলে খবর। অনুমান, বাকি জঙ্গিরা পাল্টা আক্রমণের কোনও ছক কষছে। তবে পাল্টা দিতে তৈরি নিরাপত্তাবাহিনীও। আশা করা হচ্ছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে আরও জঙ্গির হদিস মিলবে। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)