নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরিস্থিতিতে যখন Remdesivir নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার, তখন জীবনদায়ী এই ড্রাগ সরবরাহের নামে প্রতারণার চক্রের হদিশ মিলল চন্দননগরে! দু'জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের কাছে পাওয়া গেল মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ ৯০ হাজার টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে খবর, গত সোমবার মহারাষ্ট্র থেকে চন্দননগর থানায় ফোন করেন বিভা আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। কেন?  ফোনে তিনি জানান, তাঁর পরিবারের এক সদস্য করোনা আক্রান্ত। ওই ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য Remdesivir ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন ছিল। হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নম্বর পেয়ে, যোগাযোগ করেছিলেন অন্নু মেহেতা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। ৬ হাজার টাকা অগ্রিম দিলে Remdesivir ইঞ্জেকশন বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু ইঞ্জেকশন তো দূর, টাকা পাঠানোর পর তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগই করা যায়নি।


আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ, অতিমারী মোকাবিলায় মমতার সিদ্ধান্ত


কিন্তু ঘটনাটি তো ঘটেছে মহারাষ্ট্রে, তাহলে চন্দননগর থানায় অভিযোগ কেন? বিভা আগরওয়ালের দাবি, ফোন পে মারফৎ জানতে পেরেছেন, তিনি যে ৬ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন, সেটি স্টেট ব্যাঙ্কের চন্দননগর শাখায় জমা পড়েছে! ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে হাওড়া থেকে মূল অভিযুক্ত আমন সিং ওরফে ডাঃ অন্নু মেহেতাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর চন্দননগর থেকে ধরা পড়ে আর এক অভিযুক্ত সুমন নাথও। দু'জনকেই ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় করোনা অতিমারীকে হাতিয়ার করে প্রতারণা চক্র চালানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃতেরা। স্টেট ব্যাঙ্কে যে অ্যাকাউন্টে ওই ৬ হাজার জমা পড়েছিল, সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ, অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হচ্ছে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে


প্রসঙ্গত, Remdesivir নিয়ে মঙ্গলবার ফের নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ চাইলেই চিকিৎসক বা হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে  Remdesivirকিনতে পারবেন না। এই জীবনদায়ী ড্রাগটি শুধুমাত্র কোভিড হাসপাতাল ও নার্সিংহোমেই সরবরাহ করতে হবে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন।