দেবজ্যোতি কাহালি: শনিবার শীতলকুচির বড় মরিচায় জেলাল মিঞা নামে এক যুবকের মৃত্যুতে উত্তপ্ত এলাকা। সোমবার তাঁর বাড়িতে গেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পরিবারের লোকজনের দাবি জেলালে পিটিয়ে মেরেছে বিএসএফ। নিহতের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে উদয়ন বলেন, বিএসএফ ক্রমশ হত্যাকারীর রূপ ধারন করছে। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের অবিলম্বে শাস্তি হওয়া উচিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নো বল দিতেই আম্পায়ারকে ঘিরে ধরে ছুরির কোপ, ভয়ঙ্কর কাণ্ড ক্রিকেট ম্য়াচে


নিহত জেলাল মিঞায় পরিবারের সঙ্গে বহুক্ষণ করা বলে সংবাদমাধ্যমে উদয়ন গুহ বিএসএফের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, বিএসএফের কাণ্ডকারখানা এখন আমাদের কাছে এক দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে বড় মরিচায় হয়েছে। কদিন আগেই গীতালদহে ঘটল। তার আগে সিতাইয়ে ঘটেছে। তারও আগে শীতলকুচিতে ঘটছে। এভাবেই বিএসএফ এক হত্যাকরীর রূপ ধারন করছে। যারা আমাদের জীবন বাঁচাবে, আমাদের জীবন রক্ষা করবে তারা কথায় কথায় মানুষকে হত্যা করছে কেন? এটা নিয়ে উঁচুতলার ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজন হলে মনোবিদদের সঙ্গেও বিএসএফ কর্মকর্তাদের আলোচনা করা উচিত।


শনিবারের ওই ঘটনা নিয়ে উদয়ন বলেন, গতকাল এই ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলিনি। বলেছিলাম পুরো ঘটনা জেনে আমি কথা বলব। আজ এখানে এসে একটা মানুষ খুঁজে পেলাম না যে নিহতের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করছে। ওঁর বাড়ির লোককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আগে কখনও ওদের বাড়ি এসে ওর ব্যাপারে কোনও খোঁজ খবর করেছে কিনা। ওর যদি কোনও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের ইতিহাস থাকে তাহলে বিএসএফ আগেও ওর বাড়িতে এসে খোঁজ করতে পারত। করেনি তো? গতকাল ইফতার করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। তারাবির নামাজ পড়ে ফেরার সময় আর ওর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে মৃত অবস্থায় জেলালকে পেয়েছে।


মৃতদেহ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন উদয়ন। তিনি বলেন, জেলালের পরনের পোশাক কোথায় গেল? তার শরীরে কেন বিএসএফের পোশাক? অর্থাত্ এমনভাবে তাকে মারা হয়েছে যে তার পরনের পোশাক পর্যন্ত ছিল না। উলঙ্গ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে যেহেতু বিএসএফ নিজে উলঙ্গ হয়ে যাবে তাই বিএসএফের পোশাক পরিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর অবিলম্বে বিচার হওয়া দরকার। ও যদি স্মাগলিং করতো, বিএসএফকে দেখে পালাত তাহলে তো ওকে বিএসএফ গুলি করবে। তাকে শুধুমাত্র বন্দুকের বাট ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নারকীয় অত্যাচার চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের পদত্যাগ করা উচিত। ২০২১ সালে নির্বাচনের দিনে শীতলকুচিতে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। ওরা কী ভাবছে মানুষকে সীমান্ত এলাকায় থাকতে দেবে না! এনিয়ে আমরা রাজ্য পার্টির সঙ্গে কথা বলব। এই পরিবারকে সরকারি বা পার্টি স্তরে কীভাবে সাহায্য করা যায় তা দেখব। এই নারকীয় অত্যাচার বন্ধ করার জন্য আন্দোলনে নামতে হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)