Udayan Guha: অনুব্রতকে নিয়ে বিজেপির অভিযোগের পাল্টা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক উদয়ন
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বাড়ি থেকে এক টাকাও পাওয়া যায়নি ৷ অনুব্রতকে কেউ গোরু পাচার করতেও দেখেনি ৷ কেন এদের গ্রেপ্তার করা হল তাই ইডি আর সিবিআই বলতে পারবে।
তপন দেব: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ ৷ মঙ্গলবার তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিজেই সোনার দোকানের ডাকাতির কেসে ৪২ দিন জেল খেটেছেন ৷ সেই দেশে দু-চারটি গোরু পাচার হতেই পারে ৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে ৷ ডাব্লু দিয়ে শুরু ডাব্লু দিয়ে শেষ এমন সব পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেসব আর মুখ ফুটে বলতে চাইছি না। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে খেলা হবে কর্মসূচিতে এক খেলার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন উদয়ন ৷ সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বাড়ি থেকে এক টাকাও পাওয়া যায়নি ৷ অনুব্রতকে কেউ গোরু পাচার করতেও দেখেনি ৷ কেন এদের গ্রেপ্তার করা হল তাই ইডি আর সিবিআই বলতে পারবে।
আরও পড়ুন-গোয়াকে গুঁড়িয়ে ডুরান্ডে মধুর প্রতিশোধ মহমেডানের
এর আগে জানুয়ারি মাসে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে 'দুয়ারে প্রহার' মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন উদয়ন গুহ। ওই মন্তব্যের জন্য উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি।
কী বলেছিলেন তৃণমূল নেতা? গত ২৩ জানুয়ারি দিনহাটার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কর্মীসভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই উদয়ন গুহ বলেন, "রাজ্য সরকার মায়েদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়েছে। মায়েদের তো কিছু বলা যায় না, তবে পুরুষদের জন্য বেসরকারিভাবে পুরসভার নারায়ণের ভান্ডার রয়েছে। নারায়ণের ভান্ডারের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাহলে তাদের জন্য নতুন একটি প্রকল্প চালু করা হবে হবে। তা হল দুয়ারে প্রহার (Duare Prohar)। সেটা যেন মাথায় থাকে।"
উদয়নের ওই মন্তব্যের পর জেলায় এনিয়ে শোরগোল পড়ে য়ায়। এনিয়ে উদয়ন গুহ সাফাই দেন, সেভাবে আমি বলিনি। অনেকেই নারায়ণ ভান্ডারের সুযোগ নিয়েছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা, পুরসভার সুযোগ সুবিধা কর্মীদের দিয়েছি। আমাদের কর্মীদের বলেছি, যাঁরা বছরের পর বছর দলের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন, পুরসভার কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন, পুরভোটের সময় যদি তাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তবে তাঁদের জন্য আরেকটা নতুন প্রকল্প চালু হতে পারে, সেটা হচ্ছে দুয়ারে প্রহার (Duare Prohar)। আমি আমার কর্মীদের বলেছি। এটার মধ্যে বাইরের লোকের তো কিছু নেই।"