শুভাশিস মণ্ডল: আজ বৃহস্পতিবার। এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকেই দামোদরের বাঁধ  উপচে জলমগ্ন হয়ে পড়ে উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়ে উদয়নারায়ণপুর কলেজ, হাসপাতাল, থানা চত্বর। আমতা উদয়নারায়ণপুর, উদয়নারায়ণপুর মুন্সিরহাট , উদয়নারায়ণপুর ডিহিভুরসুট রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় কোমর-সমান জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, যেভাবে ডিভিসি জল ছেড়েছে তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন; WB Weather Update: বন্যার মধ্যেই ফের বৃষ্টি, ভাসবে দক্ষিণের এই ৫ জেলা
 
এখনও পর্যন্ত উদয়নারায়ণপুরের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৫টি গ্রামের প্রায় এক লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। ব্লকের ৪৮টি ত্রাণশিবিরে ৬০০০ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে  আসা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ জল ওষুধ ত্রিপল ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। নামানো হয়েছে এনডিআরএফ টিম। অন্য দিকে, এদিন দুপুরে আমতা ও উদয়নারায়ণপুরের বন্যা-কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন এমএসএমই-র মুখ্য সচিব রাজেশ পান্ডে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানস কুমার মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা। এঁরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন এবং বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।


ডিভিসি'র ছাড়া জলে আমতা ২ নং ব্লকের দীপাঞ্চল ভাটোরার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হল। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাত থেকে দামোদরের বাঁধ উপচে প্লাবিত হল উদয়নারায়ণপুর। সোমবার রাত থেকে মুণ্ডেশ্বরীর জলে প্লাবিত হয়েছিল দীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া  চিৎনান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। আর বুধবার সেই জল আরও বৃদ্ধি পেয়ে ভাটোরার পরিস্থিতির আরও অবনতি হল। বুধবার সকাল থেকেই দ্বীপাঞ্চলের কোথাও এক কোমর আবার কোথাও গলা জল। আর সেই জল ঠেলেই প্রয়োজনে মানুষকে বাইরে বের হতে হয়েছে। অন্য দিকে বেশ কয়েকটি জায়গায় নিজেদের উদ্যোগে নৌকা ও নামান এলাকার মানুষ।


আরও পড়ুন; Howrah: ভয়ংকর জোয়ার, হাওড়া শিবপুরে ভক্তভরা লরি ডুবল গঙ্গায়! বিশ্বকর্মা বির্সজনে হাড়হিম...


অপর দিকে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে জলের স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান, ডিভিসি যেভাবে জল ছাড়ছে তাতে দ্বীপাঞ্চল ছাড়াও ঝিকিরা ঝামটিয়ার কিছু জায়গা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ৯টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে ১০০০ মানুষকে সরিযে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিধায়ক জানান নদীতে জলের স্রোত বেশি থাকায় লঞ্চ আনা হলেও সেটাকে চালানো যাচ্ছে না। তিনি জানান দীপাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা আছে। এছাড়াও আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ বিতরণ করছেন। সুকান্ত পাল জানান, দ্বীপাঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখতে বিশেষ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যায় আমতা ২ নং ব্লকের ২৩৮০ হেক্টর জমির আমন ধান ও ২০০ হেক্টর জমির সবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে  বলে জানান বিধায়ক সুকান্ত পাল। এলাকা  পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়। রাজ্যের  এমএসএমই (M.S.M.E) মুখ্য সচিব রাজেশ পান্ডে, হাওড়া ডিএম পি দীপাপ্রিয়া ও হাওড়া গ্রামীণ এসপি সোয়াতি ভাঙ্গালিয়া-সহ আধিকারিকরা।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)