চম্পক দত্ত: সোমবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে!  ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা। সোমবার ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। তেরঙা যাত্রা, পোস্ট অফিস থেকে জাতীয় পতাকা বিতরণ-সহ আরও নানা কর্মসূচি চলছে। শুধু তাই নয়, ১৩ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্ট দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের  আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পোশাকি নাম, 'হর ঘর তেরঙা'।


আরও পড়ুন: Sonajhuri Haat closed: অনুব্রতর গ্রেফতারির প্রতিবাদ, শনিবার শান্তিনিকেতনে বন্ধ ঐতিহ্যবাহী এই হাট


এদিন 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। মন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। কিন্তু সংশোধানাগারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কেন? সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্য়ের তরফে কোনও নির্দেশিকা পাঠানো হয়নি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, কোন কোন জায়গায় দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা পতাকা উত্তোলন করবেন, তা  জানিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে নবান্নে। সেই তালিকায় ছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারও। তাহলে কেন এমন ঘটনা? রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের? দলের রাজ্যসভায় সাংসদ শান্তনু সেন জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, 'আইন সবার জন্য সমান। কেউ যদি বিনা অনুমতিতে কোনও অনুষ্ঠান করতে চায়, প্রশাসন যদি মনে করে অনুমতি নেই। তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতেই পারে'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'যাঁরা স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে ভারতের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, ব্রিটিশদের হাত শক্ত করেছিলেন, তাঁদের মুখে দেশপ্রেমে কথা শুনতে ভালো লাগে না'।



এদিকে নন্দীগ্রামে তেরঙা যাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্রেফ পুলিসের সঙ্গে বচসা নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নালিশও করেছেন তিনি। যাঁরা তেরঙা যাত্রায় বাধা দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এদিন আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। বলেন, 'তেরঙা যাত্রা করতে অনুমতি লাগে নাকি! এটা কি পাকিস্তান? ১৬ তারিখ আাদালতে যাব'।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: 'অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠাতে বাধ্য করেন জেলার সভাধিপতি', বিস্ফোরক হাসপাতাল সুপার


ঘটনাটি ঠিক কী? গতকাল শুক্রবার হর ঘর তেরঙা'র কর্মসূচি প্রচারে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তাঁর নেতৃত্বে তেরঙা যাত্রায়  অংশ নেন  স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু সেই মিছিল পুলিস আটকে দেয় বলে অভিযোগ। কেন? ঘটনাস্থলেই পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)