নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ-- অজানা জ্বরে আক্রান্ত হওয়া শিশুদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। রোগটির কিনারা না হওয়ায় ততোধিক উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। শিশুদের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। কিছু নমুনা পাঠানো হয়েছে পুণেতেও।
 
মালবাজার 
গত কয়েকদিন ধরে মালবাজার মহকুমা জুড়ে শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 
প্রতিদিন বিভিন্ন হাসপাতালে ভিড় করছেন শিশু কোলে নিয়ে উদ্বিগ্ন মায়েরা। বেশির ভাগ বাচ্চাই জ্বরে আক্রান্ত। পাশাপাশি ডেঙ্গুর থাবাও বসেছে মালবাজার মহকুমায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Coronavirus: চাকা গড়াবে না লোকাল ট্রেনের, রাজ্যে আরও ১৫ দিন বহাল বিধিনিষেধ


বুধবার মাল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আউটডোরে শিশুকোলে মায়েদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্বর-সহ শিশুদের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন মায়েরা। গত কয়েকদিন ধরে সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। এতেই মায়েদের পাশাপাশি চিন্তিত চিকিৎসকেরাও। তবে একটানা চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে লড়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরাও। 


মুক্তা বানু, চন্দনা সরকারেরা জানান, তাঁদের বাচ্চাদের দু-তিন দিন ধরে জ্বর, সর্দিকাশি, বমির মতো উপসর্গ রয়েছে। কারও কারও রাতের দিকে জ্বর হচ্ছে। জ্বর কমছেও না। 


এ ব্যাপারে মাল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সিনিয়র চিকিৎসক দীপকরঞ্জন দাস বলেন, প্রতিদিন বহু শিশুর চিকিৎসা হচ্ছে মাল ব্লক হাসপাতালে। সমস্যা বেশি থাকলে ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই এরকম জ্বর নিয়ে শিশুরা আসে, তবে এবারে  সংখ্যাটা বেশি। এতেই চিন্তিত সকলে। এখনও বোঝা যাচ্ছে না এটা ভাইরাল না ব্যাকটেরিয়াল। আমরা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ডেঙ্গিতেও আক্রন্ত হচ্ছে শিশুরা।


অন্য দিকে, মালবাজারে ১৩ জন শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। ভর্তি থাকা শিশুদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।


আসানসোল


অজানা জ্বরে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখন অবধি ১৪৮ জন আক্রান্ত। জ্বর সংক্রান্ত সমস্ত কিছুর টেস্ট হয়েছে। কোভিড পরীক্ষাও করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার ফলই নেগেটিভ এসেছে।


অজানা জ্বরে আক্রান্ত আসানসোলের শিশুরা। কলকাতার 'স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে' জ্বরের কারণ ধরা না পড়ায় নমুনা গেল পুণের ভাইরোলজিক্যাল ল্যাবে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার মাঝেই চিকিৎসক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে এই জ্বর। প্রতিদিনই আসানসোল জেলা হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে বেশ কয়েকজন শিশু। এই মুহূর্তে আসানসোল জেলায় ভর্তি রয়েছে ৬৪ জন শিশু। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসের ফলেই এই জ্বর ভাবলেও পরীক্ষায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের নমুনা না মেলায় জ্বরের কারণ নিয়ে ধন্দে চিকিৎসকমহল। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। শিশুদের একের পর এক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রোগটি সংক্রামক কিনা, তা নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের।


জানা গিয়েছে, ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেলেও ৭ বছর পর্যন্ত শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাই বেশি নজরে এসেছে।


পশ্চিম বর্ধমান জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুস বলেন, প্রাথমিক ভাবে এই রোগকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস হিসাবে ধরা হলেও পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপস্থিতি নেই। নমুনা পুণেতে পাঠানো হচ্ছে।


জলপাইগুড়ি


বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ির জ্বর-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে আসেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ চিকিৎসকের এক প্রতিনিধিনিদল। গৌতম দাস-সহ মোট ৫ জনের এই চিকিৎসক দল বিস্তারিত ভাবে খতিয়ে দেখতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আসেন।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Bankura: দেশি মদের টানে গ্রামে হাতির তাণ্ডব, লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি