ওয়েব ডেস্ক: গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের রাশ কার হাতে থাকবে? জিএনএলএফ-মোর্চা মতবিরোধ প্রকাশ্যে। সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার নামে দার্জিলিং সদর থানায় মিসিং ডায়েরি করল জিএনএলএফ। পাল্টা পাহাড়ের চার জায়গায় আমরণ অনশন শুরু করলেন যুব মোর্চা কর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেড়মাস ধরে অচল পাহাড়। দেখা নেই সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার। কোথায় গেলেন সাংসদ? এই প্রশ্নে তুলে দার্জিলিং সদর থানায় মিসিং ডায়েরি করল জিএনএলএফ। এখানেই শেষ নয়। বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে এদিন মিছিল করল সুবাস ঘিসিংয়ের দল। নিমেষে প্রকাশ্যে চলে এল চিরশত্রু মোর্চার সঙ্গে মতবিরোধ।


পাহাড়ের রাজনীতিতে  মোর্চা ও জিএনএলএফ-এর অবস্থান বরাবরই বিপরীত মেরুতে। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে ভরসা করে সম্প্রতি কাছাকাছি আসে দুই দল। তাল কাটল সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে ঘিরে। আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিজেপি সাংসদ পাহাড়ে পা না রাখলেও, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকেই মুখে কুলুপ মোর্চার। আর তাকে হাতিয়ার করেই পাহাড়ে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া জিএনএলএফ।


সুবাস ঘিসিংয়ের দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি মোর্চা। কোঅর্ডিনেশন কর্মসূচির চেয়ে মোর্চা বেশি ব্যস্ত নিজের কর্মসূচিতে। পূর্ব ঘোষণা মতোই দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি কাশিয়াং, মিরিক, কালিম্পংয়ে আমরণ অনশনে বসলেন ১২ জন যুব মোর্চা সদস্য। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের পাল্টা পাহাড়ে ধিক্কার মিছিলে নামল নারী মোর্চা।


গোর্খাল্যান্ড নিয়ে অচলাবস্থা জারি। তারই মধ্যে দড়ি টানাটানিতে ব্যস্ত জিএনএলএফ-মোর্চা।। পাহাড়ের দুই হেভিওয়েটের দড়ি টানাটানি থেকে কতটা ফায়দা তুলতে পারে প্রশাসন এখন সেটাই দেখার।