নিজস্ব প্রতিবেদন:  বীরভূমের ময়ুরেশ্বরে শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য বাড়ছে।  সোমবার প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান ছিল দুই বোনের সঙ্গে ঝগড়া, তার জেরেই দাদাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে দুই বোন। তারপর তারা নিজেরাও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু এরপরেও বেশকিছু প্রশ্ন দানা বেঁধেছে তদন্তে। যা থেকে এখন আবার পুলিস মনে  করছে এটি কোনও খুনের ঘটনা নয়। দুই বোনের সঙ্গে ঝামেলার জেরে আত্মঘাতী হয়েছে দাদা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: শিক্ষক  দাদা বিয়ে দিচ্ছিলেন না দুই বোনের, প্রতিবেশীরা রাতে ওই বাড়ির জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখলেন...


মৃত্যু ঘিরে রহস্য ,উঠছে প্রশ্ন


১. দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দাদা ঘরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে,তবু বোনেরা কেন চুপ করে থাকল?


২.দাদা-বোনের ঝগড়ার জেরেই আত্মহত্যা না কোনও তৃতীয় ব্যক্তির যোগ আছে কিনা, তাও দেখছে পুলিস


৩. বোনেদের বিয়ে  না হওয়া নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল, সেই অশান্তির জেরেই কি এই ঘটনা?


ময়ূরেশ্বরের শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এই সব প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিসকে।  সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিস।


গ্রামেরই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বৃন্দাবন মণ্ডল।  দুই বোনকে নিয়ে থাকেন তিনি। দুই বোনই অবিবাহিত।  রবিবার রাতেই  বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় বৃন্দাবন মণ্ডলের অগ্নিদগ্ধ দেহ।  পাশেই তাঁর দুই বোন হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পড়ে ছিলেন।


আরও পড়ুন:  মা বাড়ি থেকে বেরনোর আগে দেখেছিলেন মেয়ে পড়ছে, ফিরে এসে ৪ যুবকের সঙ্গে যে অবস্থায় মেয়েকে দেখলেন...


প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃন্দাবন মণ্ডলের দুই বোনের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গিয়েছিল। দাদা কেন বিয়ে দিচ্ছিল না, তা নিয়ে দুই বোনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। বিয়ে না হওয়ায় কিছুটা মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তাঁরা।


রবিবার রাতে যখন মণ্ডল বাড়ি থেকে ধোঁয়া ও গন্ধ বেরোতে শুরু করে, তখনই তাঁরা ছুটে আসেন।  মনে করা হচ্ছে, বিয়ে নিয়েই দাদা-বোনের মধ্যে অশান্তির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও জমি জমা নিয়েও তিন ভাইবোনের মধ্যে বিবাদ ছিল। তবে শিক্ষকের মৃত্যুরহস্য নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিস।