নিজস্ব প্রতিবেদন: দীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘোষালবাড়ির কালীপুজোয় মাকে পুজো করা হয় শ্মশানকালী রূপে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রায় দুশো বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে তারকেশ্বরের বালিগড়িতে দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই কালীপুজোর প্রচলন করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ আমলের তারকেশ্বর-সহ বিভিন্ন এলাকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা নিশাদীপ মুখোপাধ্যায়। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেই মতো মূর্তির রূপ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর রূপ-কল্পনায় মা হয়েছিলেন শ্মশানকালী। পরে নিশাদীপ মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যার সঙ্গে ঘোষাল পরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এ পুজোর দায়িত্বভার নেয় ঘোষাল পরিবারই।


আরও পড়ুন: #উৎসব: হঠাৎই পরিবেশনরত নববধূর পিঠ থেকে দুটো হাত বেরিয়ে এল!


এই দীপান্বিতা অমাবস্যায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় এখানে। এ বাড়ির পুজোয় ছাগবলির প্রথা এখনও চালু। ছাগবলির পর ১২০টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এ বাড়ির কালীপুজোয় মায়ের মূল প্রসাদ সুরা ও পাঁঠার মাংস। যদিও মায়ের জন্য আলাদা করে ভোগ রান্না করে তা মাকে নিবেদন করা হয়। ভোগে দেওয়া হয় গলদা চিংড়ি, মায়ের নিজস্ব পুকুরের যে কোনও মাছ, শীতের নতুন আলু, মটরশুঁটি ও শিম। ভোগ রান্না করেন ঘোষাল পরিবারের মহিলারা। বিসর্জনের সময় মায়ের মূর্তি গ্রামের শ্মশানে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়, তার পর তা বিসর্জন করা হয়।



এ পুজোর কিছু নিয়ম আছে। শ্মশানকালী মায়ের কাছে অনুমতি নিয়েই এই পুজো শুরু করে ঘোষাল পরিবার। ঘোষাল পরিবারেরই কোনও না কোনও সদস্যকে মায়ের পুজো করতে হবে। এবং এই পুজো করতে হবে বাঘছালের আসনের উপর বসেই, না হলেই ঘটতে পারে কোনও অঘটন। আর একটি রীতি যা এ পুজোর শুরু থেকেই প্রচলিত, তা হল, এই পুজোর সময় মায়ের মন্দিরে বাড়ির কোনও মহিলা প্রবেশ করতে পারবেন না (যদিও, ভোগ রান্না করেন পরিবারের মহিলারাই)। 


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: #উৎসব: কালীপুজোর রাত আলোয় আলো! শ্যামাপুজো কেন দীপান্বিতা?