নিজস্ব প্রতিবেদন: তারা মা'র পাথরের মূর্তি লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা। পাশেই রয়েছে তারা মায়ের আর এক মূর্তি। দুই মূর্তিরই পুজো চলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উগ্র তারা মা বলে পরিচিত এই মাতৃমূর্তি রয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের নেদেরপাড়ার এক বাড়িতে। বাড়িটিতে ভাড়া থাকেন পার্থপ্রতিম রায়। সামান্য কাজকর্ম করে ছেলে- মেয়ে স্ত্রী-মা'কে নিয়ে সংসার চালান। তাঁরই ছেলে প্রীতম। প্রীতম ছোটবেলা থেকেই তারা মায়ের ভক্ত।


আরও পড়ুন: #উৎসব: লক্ষ্মীপুজোর আগে বিষণ্ণ লক্ষ্মীরাই


আজ থেকে ১৪ বছর আগে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে তারা মায়ের এক মূর্তি কিনে বাড়িতে নিয়ে আসে প্রীতম। নিজেই শুরু করে পুজো। ছোটবেলায় স্কুলের খাতায় তারা মায়ের ছবি এঁকে ফেলত সে। বছরতিন পরে স্বপ্নাদেশ পায় প্রীতম। স্বপ্নে সে জানতে পারে, মা তার বাড়িতে আসতে চান। তারাপীঠে দ্বারকা নদীর ধারে মায়ের মূর্তি রয়েছে। তাকে নিয়ে আসতে হবে।



সেই মতো একদিন সে বেরিয়ে পড়ে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে। তারাপীঠ। পৌঁছে যায় দ্বারকা নদীতেও। সেখানেই তারা মা'য়ের মূর্তি রয়েছে বলে স্বপ্নাদেশ। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে পায় সে সেই মূর্তি। সেখান থেকে মূর্তিকে তুলে নিয়ে সোজা চলে আসে কৃষ্ণনগরে নিজের বাড়িতে। মূর্তিটি এক কুমোরকে দিয়ে রং করিয়ে সে প্রতিষ্ঠা করে বাড়িতে। কিন্তু তার পর থেকেই বাড়িতে নানা সমস্যা দেখা দেয়। প্রীতম দেবীর কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করে। আদেশ পায়, মাতৃমূর্তি লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলে সমস্যা থাকবে না। সেই মতো শিকল দিয়ে বাঁধা হয় মাকে। আজও শিকল বাঁধাই রয়েছে তারা মায়ের মূর্তি।


মা তারার নিত্য পুজো হয় এখানে। কালী পুজোতেও সমস্ত নিয়ম মেনে পুজো হয়। এবারেও হবে। পুজো প্রীতম নিজেই করে।


শুনে কি আশ্চর্য লাগছে? প্রীতমের বাবা জানান, তাঁর পুত্র জন্ম নেওয়ার আগে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। এক সাধু তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকে বলেছিলেন-- তোর মেয়ে হবে, কিন্তু তুই কি পুত্র চাস? তবে তারা মায়ের পুজো কর। সেই মতো তাঁর স্ত্রী তারা মায়ের পুজো শুরু করেন। পরে যথা সময়ে পুত্র জন্ম নেয়। 


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: #উৎসব: গভীর রাতে পুনর্ভবা পেরিয়ে ডাকাতদল এখানে পুজো দিতে আসত