নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিস পেটানোর হুমকি দেওয়ার ৫ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল পুলিস। রবিবার সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিট নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে করণদিঘি থানার পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার ইসলামপুরের দাঁড়িভিটে গিয়ে পুলিস পেটানোর নিদান দেন শঙ্কর। পুলিসকে বয়কটের ডাক দিয়ে গ্রামবাসীদের বলেন, কুকুরকে জল দেবেন কিন্তু পুলিসকে দেবেন না। একই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ ছিল, গ্রামে যেন পুলিস ঢুকতে না পারে। ঢুকলে যেন বেরোতে না পারে। নিরপরাধদের গ্রেফতার করতে পুলিস গ্রামে ঢুকলেই গাছে বেঁধে পেটাবেন।


শঙ্করের এই বক্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান আইজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা। তিনি বলেন, কারও হাতে মাইক থাকলেই সে যা খুশি বলতে পারে না। উনি দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। ওর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা করা হবে। 


নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করতে এলে পুলিসকে গাছে বেঁধে পেটান, নিদান বিজেপি নেতার


এর এক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের দোমোহনা থেকে শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে করণদিঘি থানার পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। 


থমথমে দাড়িভিটে ঢোকার রাস্তায় রবিবারও ছিল পুলিসি পাহারা। তার মধ্যেই গ্রামে ঢোকেন শঙ্করবাবুসহ বিজেপি নেতারা। সেখানে পুলিসকে কার্যত হুমকি দনে তিনি। গ্রামবাসীদের বলেন, গ্রামে যেন পুলিস না ঢুকতে পারে। ঢুকলে যেন বেরোতে না পারে। গ্রামে পুলিস ঢুকলেই গাছে বেঁধে পেটান। তদন্তের নামে নিরপরাধ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করছে পুলিস। পুলিস যে ভাষা বোঝে তাদের সেই ভাষায় জবাব দিতে হবে।' 


পুলিস কর্মীদের অসহযোগের ডাক দিয়ে শঙ্করবাবু বলেন, 'কুকুরকে জল দেবেন, কিন্তু পুলিসকে দেবেন না। পুলিসের ছেলে মেয়েরা যদি পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়, মরা কুকুরকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন  কিন্তু পুলিসের ছেলে মেয়েকে নিয়ে যাবেন না। ছাগলকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন পুলিসকে নিয়ে যাবেন না।'


এদিন সরাসরি উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপারকে কাঠগড়ায় তোলেন শঙ্করবাবু। বলেন, আপনি এখানে এসে আগুন লাগিয়েছেন। আগুন যদি না নেভে আমি আপনাকে এই জেলায় থাকতে দেব না।