নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেমিক বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ করিয়েছিল তাকে। প্রেমিকের সামনেই ঘটেছিল গোটা ঘটনা। এরপর অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে সামনে তাকে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিল প্রেমিকই। মেনে নিতে পারেনি কিশোরী। বাড়ি ফিরে বিষ খেয়েছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। সপ্তাহ খানেকের লড়াই শেষ হল তার। বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা এসএসকেম হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল কোলাঘাট গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা, দশম শ্রেণির সেই ছাত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত ছাত্রীর প্রেমিক শুভম তুঙ্গ-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।


ঘটনাটি ঘটেছিল গত শনিবার। শনিবার সন্ধেয় কোলাঘাটের বাগডিহা গ্রামে মাঠের ধারে প্রেমিকের সঙ্গে বসেছিল ওই দশম শ্রেণির ছাত্রী। তখনই প্রেমিককে গাছে বেঁধে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে চার দুষ্কৃতী। এরপর বাড়ি ফিরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নাবালিকা। কিশোরীকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় নার্সিংহোমে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।


‘চায়ে পে চর্চা’-য় এসে তৃণমূলের গো ব্যাক স্লোগানের মুখে দিলীপ ঘোষ, উত্তপ্ত লেকটাউন


পাঁশকুড়াচাপদা গ্রামের শুভম তুঙ্গের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যোগীবেড় গ্রামের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। বছর তিনেক ধরে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা। মাস ছয়েক আগে শুভমকে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। দুই পরিবারও বিষয়টি জানত। গত শনিবার সন্ধেয় টিউশনি যাওয়ার নাম করে বাড়িতে থেকে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা। তারপর রাস্তায় শুভমের সঙ্গে দেখা। এরপরই নির্মম অত্যাচারের শিকার হতে হয় ছাত্রীটিকে।


ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তারা। এই ঘটনায় স্কুলের ছাত্রীরা এবং সাধারণ নাগরিক সমাজ ছাত্রীর গ্রাম যোগীবেড় থেকে দেউলিয়া বাজার অবধি ধিক্কার মিছিল করে।