অরূপ লাহা: হলদিয়ার এক বুথ গিয়ে ভোটারদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণও। তাঁর রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। অগ্নিমিত্রা পালকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান উঠছে। এবার বাঁকুড়ার প্রার্থী সুভাষ সরকারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মানুষজন। শালতোড়ার ঝনকা প্রাইমারি স্কুলের ১৮২ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়াল সুভাষ সরকারকে ঘিরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভুয়ো ভোটার ধরতে গিয়েই বিপত্তি! অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে গো ব্যাক-চোর স্লোগান


স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের  অভিযোগ  গত ৫ বছরে এক মিনিটের জন্য সাংসদ সুভাষ সরকার আসেননি। আজ ভোটের দিন গ্রামে এসে ঝামেলা লাগাতে এসেছেন। আমাদের এখানে পানীয় জল নেই। গরিব মানুষের খাবার নেই। এখন ব্লক থেকে জল ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে। সেই জল দু'বার দেওয়া হচ্ছে । সাংসদকে পানীয় জলের কথা বললে তিনি কিছু না বলে পালিয়ে যান। তারা জানান কোন দল করেন না। সাংসদকে তাদের দাবির কথা বলতে গেলে তিনি চলে যান।  এলাকার মানুষজনের দাবি, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হয়। পুকুর নেই। আগের বারে বলেছিলেন জলের ব্যবস্থা করে দেবেন। পাঁচ বছর পাত্তা নেই। আমরা আপনাকে দেখব। স্থানীয় মানুষজন বলেন, আমরা একেবারেই গ্রামবাসী। আমাদের এখানে জলের ব্যবস্থা নেই। আর ওঁর পাঁচ বছর টিকি দেখা যায়নি। আগে এলে ভালো লাগত। আজ ভোটের দিনে এলেন। জলের কথা বলতেই পালিয়ে গেলেন। এলাকার এক বৃদ্ধ বলেন, উনি দশ বছর এখানে আসেননি। আজ ওঁর আসার কী যুক্তি? আমাদের কথার কোনও উত্তর দিলেন না। আমরা ভোট দিয়ে জেতালাম, উনি দিল্লি গেলেন। এখন আমাদের একশো দিনের টাকা বন্ধ।


ঝাড়গ্রাম লোকসভার চন্দ্রকোনারোড সংলগ্ন ডিগ্রী ১৩৪ নম্বর বুথে তৃণমূলের ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে, এমনটাই জানিয়েছেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার,এলাকায় তৈরি হয়েছে চাপা উত্তেজনা।


অন্যদিকে,  হলদিয়ার ভবানীপুরে একটি বুথে যান অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি যেতেই তাঁকে ঘিরে ধরে স্থানীয় মানুষজন। সেখানে দিয়ে কয়েক জনের কাছে ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চান তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন। এমনটাই অভিযোগ। ওই কার্ড না দেখিয়ে পালিয়ে যান কিছু লোকজন। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয় ওইসব লোকজন ছাপ্পা ভোটার। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ছাপ্পা ভোটারের কথা একেবারে ভুয়ো। এরপরেই তারা অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে গো ব্যাক ও চোর স্লোগান দেন। তারা বলতে থাকেন ভবানীপুর ভবানীপুরেই থাকবে, নন্দীগ্রাম হবে না। পরিস্থিতি বুঝে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে, তাঁর চারদিকে তুমুল গো ব্যাক স্লোগান চলতে থাকে। ওই গোলমাল নিয়ে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কেউ যদি গো ব্যাক স্লোগান দিক। সবার বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কতক্ষণে কিউ আর টি আসে তার জন্য অপেক্ষা করছি। যারা গোলমাল করছে তাদের সরাতে ২ মিনিট লাগবে। উল্লেখ্য, এর মধ্যেই কিউ আর টি টিম এসে জটলা সরিয়ে দেয়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)