নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রায় আড়াই বছর পরে অবশেষে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করল কেন্দ্র। সোমবার রাতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপকের নাম চূড়ান্ত করে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বিশ্বভারতীর কর্মসচিবের মেলে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত করে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উপ সচিব সুরত সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন স্থায়ী উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে বরখাস্ত করে কেন্দ্র। তার পর থেকেই বিশ্বভারতীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অস্থায়ী উপাচার্যরা। প্রথমে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন কুমার দত্ত সেই পদে অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারী স্বপনবাবুরও মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তিনি অবসর নিলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উপাচার্যের দায়িত্ব নেন প্রতিষ্ঠানের প্রবীণতম ডিরেক্টর তথা বিনয় ভবনের অধিকর্তা সবুজকলি সেন। তাঁর আমলেই উপাচার্য নিযোগে তৈরি হয় সার্চ কমিটিও। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের হাত ঘুরে পাঁচ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছয়।


বিশ্বভারতীর মতো আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উপাচার্য’-এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদটি দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে অস্থায়ী হিসাবে পড়ে ছিল। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়ছিলেন কর্মী থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারাও। সমস্যায় পড়েন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকি আধিকারিকরাও। বহু ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়াও স্থগিত ছিল। প্রসঙ্গত, কোন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য- নিয়োগ, মৌ চুক্তি সই, কোনও বড় অঙ্কের আর্থিক বরাদ্দ, কোনও বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আইন প্রনয়ণ করতে পারেন না। তাই এই বিষয়গুলি বন্ধ হয়ে পড়েছিল এতকাল। এক কথায় বিশ্বভারতীর উন্নয়নে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল।


কে হবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য এই নিয়ে বহু জল্পনা তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। সেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অধ্যাপক চক্রবর্তী দীর্ঘদিন দিল্লি বি‌শ্ববিদ্যালয়ের নানা দায়িত্বে ছিলেন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করেছেন তিনি। দেশের রাষ্ট্রনীতি, রাষ্ট্রকাঠামো সংক্রান্ত একাধিক গবেষণাপত্র ও বই রয়েছে তাঁর।