প্রসেনজিত্ মালাকার: মুখ্যমন্ত্রীকে ফের চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। গতমাসে একটি রাস্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখেছিলেন উপাচার্য। সেই চিঠির ভাষা ছিল কিছুটা রাজনৈতিকও। এবার একেবার ব্যক্তিগত আক্রমণ। ৫ পাতার সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিদ্যুত্ চক্রবর্তী লিখেছেন, আপনার সাহিত্য কীভাবে স্বীকৃতি পায় তা সহজেই বোধগম্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের


শান্তি নিকেতনকে ওয়ার্ড হেরিটেজ-এর মর্যাদা দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই স্বীকৃতি সংক্রান্ত ৩টি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেইসব ফলকে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও নেই রবীন্দ্রনাথের নাম। এনিয়ে তোলপাড় হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। সেই প্রতিবাদ আন্দোলন আজ ১২ দিন পড়ল। আগামী ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্যুতের পত্রবোমা।


মোট ৫ পাতার চিঠিতে 'শান্তিনিকেতন স্মৃতি', 'কর্মী রবীন্দ্রনাথ'-সহ একাধিক বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাঙ্গ করেছেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, আমার জানা নেই যে কেউ আপনার মতো এত গুণসম্পনা আছেন কিনা? আপনার সহিত্য খুব সহজেই স্বীকৃতি কেন পায় তা সহজেই বোঝগম্য। উপাচার্য আরও লিখেছেন, বিশ্বভারতীতে পরিবর্তন হচ্ছে। তাই যারা এর থেকে ফয়দা নিতেন তারা এখন ভীত। প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে তেমনই তারা এবার শেষ কামড় দিচ্ছেন।


উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর একটি রাস্তা ২০১৯ সালে অধিগ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। সেই রাস্তা ফেরত চেয়ে তৃতীয়বার একটি চিঠি লেখেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। সেই চিঠি লিখতে গিয়ে কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কটাক্ষ, 'আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন!'। এখানেই শেষ নয়, বিদ্যুত্ চক্রবর্তী মনে করিয়ে দেন, আপনার মন্ত্রিসভার ২ সদস্য এখন জেলে রয়েছেন। কয়েকজন বিশ্বস্ত সঙ্গীও জেলে রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে তার তিহাড় জেলে থাকার কথাও টেনে আনেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী।


রাস্তা ফেরত চাইতে গিয়ে একেবারে বিরোধী নেতাদের সুর বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর চিঠিতে। মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কয়েকজন সহকর্মী শিক্ষা, রেশন দুর্নীতি, জমি দখল, গোরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। স্তাবকদের চোখে দুনিয়া দেখার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তা না করে তিনি যদি নিজের চোখ দিয়ে বিশ্বভারতীর কাজকর্ম দেখেন তাহলে বাস্তব চিত্রটা বুঝতে পারবেন। এমনটাই মত বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর। চিঠির শেষ দিকে বিদ্যুত্ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই পৃথিবীতে কেউই স্থায়ী নয়। ভিসি-র টার্ম শেষ হয়ে গেলে আমাকেও সরে যেতে হবে। আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে ভোটাররা যদি আপনাকে আশীর্বাদ না করেন তাহলে আপনাকেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে চলে যেতে হবে। সেই বুঝে মানুষজনের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)