ওয়েব ডেস্ক: দুপুরে দলিত পরিবারের বাড়িতে পাতপেড়ে কলাপাতায় মধ্যাহ্নভোজ। বিকেলের টিফিন গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের বারান্দায়। মাঝে ঘুরেছেন গ্রামের আরও জনা চারেক প্রান্তিক মানুষের বাড়িতে। দলিত থেকে সংখ্যালঘু । নকশাল বাড়ির কয়েক ঘণ্টার সফরেই BJP সভাপতি বুঝিয়ে দিয়েছেন, কী হবে পদ্মের প্রচার কৌশল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নকশালবাড়ির কটিয়াজোত গ্রাম। দুপুর একটা। চাঁদিফাটা রোদ্দুর মাথায় নিয়ে ঢুকলেন গ্রামেরই এক প্রান্তিক দলিত পরিবারের বাড়িতে। বসলেন রাজু মাহালি-গীতা মাহালির  মাটির দাওয়ায়। অ্যাসবেস্টারের ছাউনি দেওয়া ঘর। চাটাইয়ের বেড়া। তখন বারন্দার কোনে এক চিলতে  রান্নাঘরে মাটির উনুনে চলছে বিজেপি সেনাপতির মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তুতি। চলছে রুটি বেলা। আলু পটলের তরকারির গন্ধ ভেসে আসছে বারান্দায়। এরপর শুরু হল দুপুরের খাওয়া। কলা পাতায় এককথায় পঞ্চব্যজ্ঞন।
মেনুতে ছিল-
সাদা ভাত
রুটি
মুগের ডাল
আলু পটলের তরকারি
পটলভাজা
সালাড


পরিবেশন করলেন বাড়ির গিন্নি গীতা মাহালি। তৃপ্তি করেই একটার পর একটা মেনু শেষ করেছেন বিজেপির চানক্য। খাওয়া দাওয়া সেরে একটু জিরিয়ে নেওয়া। এরপর  কটিয়াজোত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সাধনা মণ্ডলের বসেছিল কর্মী বৈঠক। সেখানে মিনিট তিরিশ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা।  দলবল নিয়ে ওই বাড়ির সামনেই পাড়ার বাসিন্দাদের নিয়ে ছোট করে সভা সেরে নেন বিজেপি সভাপতি। সেখান থেকেই শুরু হয় গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের বাড়ি বাড়ি  ঘোরা। প্রথমেই তিনি জানান গ্রামের এক মুসলিম পরিবারের বাড়িতে। বিজেপি সভাপতিকে বাড়িতে দেখে চমকে ওঠে  মহম্মদ সাবিরউদ্দিনের পরিবার। সংখ্যালঘু পরিবারের কাছ থেকে তাদের অভিযোগ, অনুযোগ মন দিয়ে শোনেন তিনি।


দুপুর গড়িয়ে বিকেল। এভাবেই নকশালবাড়ির একমাত্র বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত কটিয়াজোত গ্রামে প্রান্তিক মানুষের ঘরে ঘরে পৌছেছেন বিজেপি সভাপতি। দলিত মাহালি পরিবারের মাটির দাওয়ায় যেমন সেরেছেন দুপুরের খাওয়া। তেমনি  গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের থেকে শুনেছেন তাদের সমস্যা। এভাবেই কয়েকঘণ্টার সফরে বিজেপি সেনাপতি বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের কৌশল।