Didir Doot: দুর্নীতিতে জড়িত এইসব ভূতরা; দিদির দূতদের জন্য ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে থাকুন, বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
বিজেপি বিধায়কের এই বেনজির আক্রমণকে একহাত নিয়েছে তৃণমূলও। তৃনমূলের দাবি ভূতকে মানুষ ভয় পায়। দিদির দূতেরা যেভাবে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে কাজ করছে তাতে বিজেপি নেতারা ভয় পেয়ে এমন সব কথা বলছে
মৃত্যুঞ্জয় দাস: মাসখানেক আগে তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। এরবার রেল রুখে দেওয়ারও ডাক দিয়েছিলেন। এবার দিদির দূত-দের নিশানা করলেন ওন্দার বিধায়ক। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানুষের অভাব অভিযোগ জানার জন্য গ্রামে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে দিদির দূত। সেইসব দূতদের জন্য ঝাঁটা নিয়ে অপেক্ষা করার নিদান দিলেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ।
আরও পড়ুন-ফের কর্মী ছাঁটাই, বুধবার ঘোষণা করবে মাইক্রোসফট
মঙ্গলবার বিকেলে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি এলাকায় দলের এক সভায় অমরনাথ শাখার নিদান, 'দরজায় দরজায় এখন দিদির দূতরা আসছে। আপনারা ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন।' বিজেপি বিধায়কের ওই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায়।
অমরনাথ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এগারো বছর বরবাদ করে দেওয়ার পর এখন সবদিক থেকে বাঁচার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবিস্কার করেছেন দরজায় মমতার দূত। আমরা বলছি দরজায় মমতার ভূত। এই ভূতরা কোনও না কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা কোনও মাকে বলেছে আইসিডিএস-এ চাকরি করে দেব, কোনও বেকার যুবককে বলেছে স্কুলে বা সিভিক কর্মীর চাকরি দেব। এইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু না কিছু নিয়েছে। তাই এই ভূতরা গেলে আপনারা ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ করে অমরনাথ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের পেটে বোমা মারছেন। আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে এই দুজনকে বাংলা ছাড়া করতে হবে। ওই দুজনের উদ্দেশ্য এই রাজ্যটাকে বাংলাদেশ বানানো।
বিজেপি বিধায়কের এই বেনজির আক্রমণকে একহাত নিয়েছে তৃণমূলও। তৃনমূলের দাবি ভূতকে মানুষ ভয় পায়। দিদির দূতেরা যেভাবে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে কাজ করছে তাতে বিজেপি নেতারা ভয় পেয়ে এমন সব কথা বলছে। যেভাবে গ্যাস ও পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে তাতে মানুষ তৈরী আছে বিজেপি নেতাদের ঝাঁটা পেটা করার জন্য। তৃণমূল চাইলে অমর নাথ শাখাদের বাঁকুড়া ছাড়া করতে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু তৃণমূল শান্তি চায়। শান্ত বাংলাকে বিজেপি অশান্ত করার চেষ্টা করছে।