ওয়াশাবাড়ির অর্থোডক্স চা সব চেয়ে বেশি দাম পেল নিলামে, খুশি ম্যানেজার থেকে শ্রমিক
ওয়াশাবাড়ির চা-বাগানে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় চা তৈরি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগানের চা নিলামে ভাল দাম পাওয়ায় খুশি ম্যানেজার থেকে চা-শ্রমিকেরা। ওয়াশাবাড়ি চা-বাগানের ঘটনা।
শিলিগুড়ি, কলকাতা, গৌহাটি, কোচিন, কুন্নুর ও কোয়াম্বটুর-- এই ছ'টি জায়গায় চা নিলামে বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক চা-দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর মধ্যে শিলিগুড়ি (siliguri) চা-নিলাম কেন্দ্রে নিলামে অংশ নেয় ডুয়ার্স-তরাইয়ের বেশ কিছু চা-বাগান। টি বোর্ডের নির্দেশ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বাগানের গ্রিন সিটিসি এবং অর্থোডক্স চা-ও নিলামে ওঠে। তরাইয়ের লোহগর চা-বাগানের গ্রিন টি ৬১০ টাকা, ডুয়ার্সের আনন্দপুর চা-বাগানের সিটিসি চা ৪০০ টাকা প্রতি কেজি দামে ওঠে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মাদক চালানের চেষ্টা, স্বরূপনগর সীমান্তে পাকড়াও মহিলা পাচারকারী
তবে চমক দেয় ডুয়ার্সের প্রবেশদ্বার মাল মহকুমার ওয়াশাবাড়ি চা বাগান (Washabari Tea Garden)। এই বাগানের অর্থোডক্স চা সব চেয়ে বেশি দাম পায়-- প্রতি কিলো ২০০০ টাকা! এই খবরে চ-বাগানের ম্যানেজমেন্ট ও চা-শ্রমিকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা যায়।
ওয়াশাবাড়ি চা-বাগানের স্টোর ম্যানেজার সুকান্ত সাহা বলেন, সারা ভারতে চায়ের গুণাবলী নির্ধারণে টি বোর্ড (Tea Board) দারুণ পদক্ষেপ করেছে। এতে উৎপাদনের মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ তৈরি হবে বিভিন্ন চা-বাগানে। এই চা-বাগানের ম্যানেজার রাজকুমার মণ্ডল বলেন, শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের পরিশ্রমের ফসল পাওয়া গেল। এই বাগানের অর্থোডক্স চা বেশি দাম পেল। এতে বাগানের সবাই খুশি।
তিনি আরও জানান, এই বাগানে অর্থোডক্স ও সিটিসি চা উৎপন্ন হয়। ডুয়ার্সে খুব কম চা-বাগানেই অর্থোডক্স চা উৎপন্ন হয়। এই বাগানে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায় চা তৈরি হয়।
জানা গেল কী ভাবে তৈরি হয় এই চা। এর জন্য অনুকূল আবহাওয়া দরকার। প্রথমে চা-বাগান থেকে তিন দিনের কচিপাতা তুলে গুদামে আনা হয়। এরপর ১৬-১৭ ঘণ্টা শুকানো হয়। এর পর হাত দিয়ে চা-পাতাকে ১৫-২০ মিনিট রোল করানো হয়। আবার সেটাকে শুকানো হয়। তার পর বাজারে বিক্রির জন্য ব্যাগে প্যাক করা হয়।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেও চলছে বনভোজন, মূর্তি নদীতে জমা হচ্ছে জঞ্জাল