শ্রীকান্ত ঠাকুর: ব্যক্তি মালিকানায় থাকা জলাভূমিকে ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা এবং তা খোদ বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডে। এমনকি তার বাড়ি থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে। ব্যক্তি মালিকানায় থাকা জলাশয় এভাবে ভরাট করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এছাড়াও বালুরঘাট পৌরসভা জলাভূমি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এই অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। অবশ্য বালুরঘাটের চেয়ারম্যান অসম মিত্র দাবি করছেন তার কাছে সরাসরি কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অযোধ্যায় রামপথ ঢুবল বৃষ্টির জলে; 'বিরাট দুর্নীতি', সরব কংগ্রেস-তৃণমূল


চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে জলাশয় ভরাট কিভাবে হয়? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুইদিন আগেই এনিয়ে সরব হয়েছেন। জলাভূমি ভরাটের বিষয়টা সামনে আসতেই বালুরঘাট মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।  অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ওই জলাশয়ে ট্রাক্টর করে আবর্জনা ও পরিত্যক্ত নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের মদতেই এই জলাশয় ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির।  যদিও বা ওই জলাশয় ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করেছে, বাড়ির মালিক।


এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বিজেপি নিজের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা অপপ্রচার করে থাকে। আমার কাছে এখনও এই ধরনের অভিযোগ কিংবা তথ্য আমার কাছে আসেনি। তারা যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। আর সেটা যদি জলাশয় হয় বা জলাশয় ভরাট করা হয়, তাহলে পুরসভা কখনও সেগুলোকে বরদাস্ত করে না। এর আগে আমার ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাটের খবর এসেছিল, সেবার পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। এই ব্যাপারেও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


যার বিরুদ্ধে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ উঠেছে  তিনি জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত  ব্যক্তি জয়দেব পাল বলেন, শুধুমাত্র আমাদের রাস্তার জন্য এটি ভরাট করেছি। কারণ রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল।


বালুরঘাট টাউন মন্ডল সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের মদতেই চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছে একটি খাড়ি ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছেই আরেকটি খাড়ি বা পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। যদিও  সেবার আন্দোলনের কারণে পারেনি। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। এটা নিয়ে আমরা এসডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।
 
প্রসঙ্গত, বালুরঘাটের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরই বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান। ওই ওয়ার্ডেই রয়েছে একাধিক জলাভূমি ও জলাশয়। নানা সময়ে ওই জলাভূমিগুলি ভরাটের অভিযোগ আসে। এর আগেও ওই ওয়ার্ডের একটি জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ এসেছিল। সেই অভিযোগ পেতেই চেয়ারম্যান  গিয়ে তা বন্ধ করেছেন। পরবর্তীতে তা আর যাতে না হয়, সেই নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন। এবারে ফের একই এলাকায় সন্তোষী মন্দিরের কাছেই একটি জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ আসে। ওই জলাভূমির জায়গা ব্যক্তিগত সম্পত্তির বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানায় থাকলেও জলাভূমি ভরাট করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বালুরঘাটে, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)