নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গাপুর ব্যারাজের লক গেট ভেঙে জল বেরিয়ে যাওয়ায় জলশূন্য হয়ে পড়েছে জলাধার। ফলে দেখা দিয়েছে নতুন সঙ্কট। ইতিমধ্যেই দু্র্গাপুর শহর ও সংলগ্ন উপনগরীর বেশ কিছু অংশে জলসরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। অন্যদিকে জলাধার জলশূন্য হয়ে পড়ায় তাপবিদ্যুত্ উত্পাদনও ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ বেঁকে যায় দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর লকগেট। লকগেটের লোহার পাত বেঁকে হু হু করে বেরিয়ে যেতে থাকে জল। সেচ দফতর দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করলেও, ক্রেনের তার ছিঁড়ে বাধা পায় মেরামতির কাজ। এরপর বালির বস্তা দিয়ে বেঁকে যাওয়া লকগেটের বাঁধ দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাঙা লকগেট দিয়ে নাগাড়ে বেরিয়েছে জল। ফলে জলশূন্য হয়ে পড়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজের জলাধার।


দামোদরের জল শুকিয়ে যাওয়ায় অনেককেই হেঁটে বালির চর পারাপার করতে দেখা যায়। অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মাছ ধরতে। প্রসঙ্গত,  দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড, দুর্গাপুর পুরনিগম, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ হয় এই দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। সেইসঙ্গে দুর্গাপুর তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র, অন্ডাল তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র, মেজিয়া তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্রে জল যায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। জলের অভাবে বিদ্যুত্ উত্পাদন ব্যাহত হলে রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, অঙ্গদপুর, পানাগড়, দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন শিল্পতালুক তীব্র সঙ্কটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।


আরও পড়ুন, তামিম, নয়নের পর আফতাব, পুলিশের হাতে এল আরও ১ জঙ্গির তথ্য


যদিও সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, এই সঙ্কট সাময়িক। মাত্র ০.২ শতাংশ জল বেরিয়ে গেছে। দ্রুত লকগেট মেরামতির কাজ চলছে। লকগেট মেরামত হয়ে গেলেই জলাধার আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যাবে।