Jalpaiguri: ভারী বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকল জল, তিস্তায় জারি লাল সংকেত
Jalpaiguri: পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়ছে সমতলের নদীগুলোর উপরে। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন পাহাড়ী ঝোরাগুলোতে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে এই কারণে। এর সঙ্গে ওদলাবাড়ীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ থেকে বাড়তি ৬০২৮.৭৯ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে
প্রদ্যুত্ দাস: রাতভর একটানা ভারী বৃষ্টি। শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করলা নদীর জল ঢুকে পড়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনিতে। এলাকার বেশ কিছু বাড়ি এখন জলমগ্ন। সমস্যায় বহু মানুষ। করলা নদীর পাশে স্থায়ী বাঁধ না থাকার কারণেই নদীর জল বেড়ে গিয়ে জল ঢুকে পড়ায় বিপত্তি।
আরও পড়ুন- চাঁদের মাটিতে অবতরণ করল রোভার প্রজ্ঞান, দেখুন ল্যান্ডারের তোলা সেই ভিডিয়ো
গত চব্বিশ ঘণ্টা ধরে জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের সব কয়টি জেলাতেই চলছে ভারী বৃষ্টি। গত চব্বিশ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৩, পার্শ্ববর্তী শিলিগুড়িতে ২২৩ মিলিমিটার, মালবাজার ৭১.১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড় সহ সমতলে লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা, জলঢাকা সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়ছে।
শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ির ফ্লাড ওয়ার্নিং অথরিটি অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে জলঢাকা নদী সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, মেখলিগঞ্জ, এবং দমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অববাহিকায় লাল ও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়ছে সমতলের নদীগুলোর উপরে। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন পাহাড়ী ঝোরাগুলোতে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে এই কারণে। এর সঙ্গে ওদলাবাড়ীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ থেকে বাড়তি ৬০২৮.৭৯ কিউমেক জল ছাড়ার কারণে শুক্রবার বিকেলের দিকে তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রের খবর।
তবে সেচ দফতর সূত্রের আরো খবর দোমহনি থেকে বাংলাদেশ বর্ডার অসুরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। অপরদিকে জলঢাকা এনএইচ ৩১ সুরক্ষিত এবং অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতার পাশাপাশি মেখলিগঞ্জে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিরামহীন বৃষ্টির কারণে শুক্রবার জলমগ্ন জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকা। চরম সমস্যা শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পুরসভার নিউটাউন পাড়া থেকে শুরু করে তিন নম্বর ঘুমটি সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন। দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ। পানীয় জল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ গিয়ে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।