নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্ষমতায় এলে বদলে যাবে পাহাড়। ২ মে-র পর পাহাড়ে হবে দীপাবলি। গোর্খা সমস্যার সমাধান হবে, দার্জিলিং হবে মিউনিশিপ্যাল কর্পোরেশন, হবে জলের ব্যবস্থা। দার্জিলিংয়ের সভা থেকে পাহাড়ের মানুষদের এরকম একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন অমিত শাহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দার্জিলিংয়ের সভা থেকে আজ অমিত শাহ(Amit Shah) বলেন, আমি জানি গোর্খা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে তার একটা চিন্তা আপনাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমাদের সংবিধান অনেক বড়।  আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি পাহাড় সমস্যার সমাধান কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকার একসঙ্গে করবে। আপনাদের আর আন্দোলন করতে হবে না।  রাজ্যে বিজেপি সরকার এনে দিন, ১১ গোর্খা গোষ্ঠীকে তপলিসি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন-রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের, প্রচার করতে পাবেন না আগামী ৪৮ ঘণ্টা  


অমিত শাহ বলেন, গোর্খা জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। দেশে যখনই দেশভক্ত জাতির নাম করা হয়েছে তখনই গোর্খাদের নাম নেওয়া হেয়েছে। ভারতমাতার রক্ষায় এই গোর্খা জওয়ানদের বলিদান দেশ মনে রাখবে। এই গোর্খাদের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল দিনের পর দিন অন্যায় করে চলেছে। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সিপিএম। ১২০০ বেশি গোর্খার বুকে গুলি করেছিল। আজও সেকথা ভুলিনি। আর দিদিও কম অত্যাচার করেননি। বহু লোককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাজারের বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।  আপনাদের কথা দিচ্ছি, এখানে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে পাহাড়ে গোর্খাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে তা তুলে নেওয়া হবে। 


পাহাড় আন্দোলন নিয়ে শাহ বলেন, গোর্খা ভাইদের লুকিয়ে বেড়াতে হয়েছে। শুধু রাজনীতির কারণে। এজিনিস খুব বেশি দিন চলবে না। ২ মে পাহাড়ে দীপাবলি হবে। আগুন নয়, পাহাড়ে এবার প্রদীপ জ্বলবে। উত্সব পালন করা হবে। গোর্খাদের প্রতি সুবিচার একমাত্র বিজেপিই করতে পারে। কারণ গোর্খাদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক আমরা তৈরি করিনি। এই সম্পর্ক তৈরি করেছেন ঈশ্বর। এই সম্পর্ককে শক্তি দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আসুন দেশজুড়ে থাকা গোর্খাদের দেশের মূলস্রোতে যুক্ত করা কাজের  সুযোগ একাবার নরেন্দ্র মোদীকে দিন।


আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টার জন্য নয়, পুরো নির্বাচন থেকেই ওঁকে ব্যান করা উচিৎ: দিলীপ ঘোষ


দার্জিলিং দেশের সুন্দর শহরের মধ্যে একটি। মাদ্রাজের পর দার্জিলিং মিউনিশিপ্যালিটির মর্যাদা পায়। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল এই  দার্জিলিংয়ের উন্নয়নে ফুলস্টপ লাগিয়ে গিয়েছে।  আমাকে বলুন এই দার্জিলিং(Darjeeling) কি একুশ শতকের দার্জিলিং? সবাই একে ব্যবহার করেছে। কেউ এর উন্নয়ন করেনি। একবার মোদী সরকারকে ভোট দিন। দার্জিলিংয়ের উন্নয়ন হবে।