নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার অমিত শাহ বিজেপির ইশতাহার প্রকাশ করার পর থেকেই তাদের প্রতিশ্রতি নিয়ে সরব বিরোধী শিবির। এমনকি অমিত শাহর হিন্দিতে ইশতাহার পাঠ করা নিয়েও গেরুয়া শিবিরকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি, 'সোনার বাংলা'-র উন্নয়নের ফিরিস্তি দেওয়া হচ্ছে হিন্দিতে। আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের সভা থেকে এনিয়ে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-WB assembly election 2021: বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ রাজীবের


অভিষেক বলেন, বিজেপি ইশতাহার অডিও ক্যাসেটের মতো। শুধু শোনা যায়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ বাস্তবে দেখা যায় না। আর তৃণমূলের ইশতাহার হাই কোয়ালিটি ডিভিডি। শোনাও যায়, দেখাও যায়। মোদীর(Narendra Modi) সাত বছরের কার্মকাণ্ড ও মমতার(Mamata Banerjee) দশ বছরের কাজের তুলনা টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক(Abhishek Banerjee)। বলেন,তথ্য পরিসংখ্য়ান দেখিয়ে লড়াই হোক। যদি ১০-০ গোলে হারাতে না পারি তাহলে রাজনীতির আঙিনায় আর পা রাখব না। 


গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা টেনে এনে অভিষেক বলেন, আপনাদের মোদী গত নির্বাচনে বলেছিল, দেশের প্রত্যেককে পনের লাখ টাকা দেব। কেউ পায়নি। বলেছিল, বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি হবে। কেথায় সেই চাকরি? বলেছিল কালো টাকা ধ্বংস হবে, হয়নি। জিএসটি(GST) করে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কথা বলেছিল। দেশের আর্থিক অবস্থা আজ রসাতলে। অন্যদিকে, আমাদের দিদি বলেছিল, বিনা পয়সায় খাদ্য দেব, দিয়েছে। বলেছিল কন্য়াশ্রী করব, যুবশ্রী দেব, গতিধারা দেব। দিয়েছে। আমরা যা বলি তা করে দেখাই।


আরও পড়ুন-বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিপত্তি, বিস্ফোরণে মৃত্যু শিশুর


বিজেপির ইশতাহারের কথা টেনে তৃণমূল নেতা বলেন, বিজেপি ইশতাহারে কত কথা! ২০১৯ সালে যা বলেছিলেন তা করেননি কেন? ওদের ৭ বছরের কাজের হিসেব নিন, আর জোড়া ফুলে ভোট দিন। একমাস আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছিলেন, দুয়ারে সরকার ভাঁওতা,স্বাস্থ্যসাথী ভাঁওতা। তার পরে কি হয়েছে দেখেছেন? দিলীপ ঘোষের দাদা ও বৌদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ। এই তো অবস্থা। বাড়ির লোককে সামলাতে পারে না। কেন্দ্র আয়ূষ্মান ভারত দিতে চেয়েছিল রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ লোককে। মমতা বলেছিলেন, আমি সবার মুখ্যমন্ত্রী। আমি সবাইকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুরু করলেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। শুনে রাখুন, আপনার বাড়ির মাথার উপরে চাদটা যদি পাকা হয়, স্মার্টফোন,মোটরবাইক থাকে তাহলে আপনি আয়ূষ্মান ভারত পাবেন না। কালিম্পং থেকে কাকদ্বীপ সবাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবেন। সবাই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়।