নিজস্ব প্রতিবেদন:  উত্তরবঙ্গে প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এনিয়ে পাল্টা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে নির্বাচনী সভায় আজ মমতা বলেন, বিজেপি কাউকে একসঙ্গে থাকতে দেবে না। এই তো অসমে ৩ দিন আগে ভোট হয়েছে। আর কাল থেকে ডি নোটিস দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থাত্ ডিটেনশন ক্যাম্পে যাও। ১৪ লাখ বাঙালির নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। আমার হিন্দি ভাষী ভইয়েরা, আপনাদেরও বাদ দিয়ে দেবে। নিশ্চিন্তে থাকুন। বাংলায় এনআরসি(NRC) হবে না। এখানে এনআরসি করতে দেব না। আপনারা সবাই দেশের নাগরিক। সবাই পড়াশোনা করেন, স্কুল-কলেজে যান, চাকরি করেন, ব্যবসা করেন। আপনারা সবাই নাগরিক। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন  ভোটার লিস্টে যেন নামটা থাকে।


আরও পড়ুন-মা-বাবার গরহাজিরায় আনন্দের দাদু-মামাকে Mamata-র মঞ্চে তুলল TMC! 


তৃণমূল নেত্রী বলেন, ভোটের সময় হয়তো দেখলেন ইভিএম(EVM) খারাপ। বাড়ি চলে যাবেন না। তাতে আপনার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। ভোটটা দিয়ে যাবেন। কারণ তা না করলে হয়তো ভোটার লিস্ট থেকে নামটা কেটে দেবে। তখন বলবে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাও। ভোটটা দিতে হবে আপনাদের। বাংলা বাঁচানোর স্বার্থে আপনারা ভোট দিন। বাংলাকে বাঁচান।


দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন মমতা। বলেন, এই তো দেখছেন কোভিড শুরু হয়েছে।  আমরা বহুদিন ধরে বলছি, আমরা টাকা দিচ্ছি আমাদের ভ্যাকসিন(Covid Vaccine) দাও। ওরা দিচ্ছে না। কেন্দ্র বলেছে, তোমরা ডাইরেক্ট টিকা কিনতে পারবে না। আমাদের মাধ্যমে কিনতে হবে। আমরা টাকা নিয়ে বসে আছি। কিন্তু টিকা ওরা দিচ্ছে না। এক বছর আগে গোটা দেশজুড়ে তাণ্ডব হল। এত লোক মারা গেল। এক বছর সময় পেয়েছে। নরেন্দ্র মোদীও কিছু করল না অমিত শাহও কিছু করল না। কোভিডের সময় একবারও আসেনি। এখন বাইরে থেকে লোক এনে কোভিড বাড়িয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। মাস্কটা পরে থাকবেন। সাবধানে থাকবেন।


আরও পড়ুন- বরানগরে পার্নো মিত্রের প্রচারে হামলা, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ BJP-র


বিজেপি এক এক জায়গা এক একরকম কথা বলে। অভিযোগ মমতার(Mamata Banerjee)। বলেন, শাহ কাল লেবংয়ে গিয়ে বলেছে, আমি তো এনআরসির কথা বলিনি! এখনও ওই আইন পড়ে রয়েছে। বলছে, মমতাদি চা পছন্দ করেন না। চাওয়ালাকেও পছন্দ করে না। আমি বলি, আমরা বাঙালিরা চা পছন্দ করি। আর আমি চায়ের দোকানে গিয়ে চা তৈরিও করেছি। ঘর থেকে খাবার এমে কোনও গরিব মানুষের  ঘরে গিয়ে খান। বলেন গরিব মানুষের ঘরে খাচ্ছি। গরিব দরদি? গ্যাসের দাম কত! ১৫ লাখ টাকা দেবে বলেছিল, ২ কোটি লোকের চাকরি হবে বলেছিল। কিছু হয়েছে? সব কোম্পানি বেচে দিয়ে দুহাতে টাকা লুটছে আর তা ভোটে খরচ করছে।