নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিস নাকি বিজেপি, কারা ছত্রধরকে তুলে নিয়ে গিয়েছে তা বুঝতেই পারছে না ছত্রধর মাহাত-র পরিবার। কারণ কোনও অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। নিজেদের পরিচয় নিয়ে কিছুই তারা বলেননি। এমনটাই অভিযোগ ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার ভোট সাড়ে তিনটে নাগাদ লালগড়ে তার বাড়ি থেকে ছত্রধরকে তুলে নিয়ে যায় এনআইএর ৪০ জনের একটি টিম। একথা জানিয়েছে কেন্দ্রী তদন্ত সংস্থা। 


আরও পড়ুন-দোলপূর্ণিমার সকাল, গান গেয়ে এলাকায় প্রচার সারলেন ব্রাত্য বসু


ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাত-র অভিযোগ, কোনও অ্য়ারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। দরজা ভেঙে পুলিসের পোশাক পরে কিছু লোক জোরকরে ঘরে ঢোকে। ছত্রধরের গ্রেফতারি নিয়ে লালগড় থানাও কিছু জানে না। 


অন্যদিকে, ছত্রধরের আইনজীবী জানান, ছত্রধরের বিরুদ্ধে এনআইএর কোনও মামলা নেই। গ্রেফতারির কেস নম্বরও জানানো হয়নি। গত ২৫ তারিখ আদালতের নির্দেশ মতো পরদিন হাজিরাও দেন। তার পরেও কেন গ্রেফতার, বোঝা যাচ্ছে না।


নিয়তি মাহাত আরও বলেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন অন্ধকারেই রয়েছি। এনআইএ নিয়ে যাচ্ছ নাকি বিজেপি নিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল সবাই। উনি জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা কীসের জন্য এসেছেন। ওরা বলে চলুন বাইরে। আপনার সঙ্গে কথা রয়েছে। এখানে বলা যাবে না। এর মধ্যেই ওকে টানা হেঁচড়া করতে শুরু করে পুলিস। তারপর গাড়িতে তোলে। 


আরও পড়ুন-তিস্তা-ফেনীর জলবন্টন নিয়ে কথা, মোদীর বাংলাদেশ সফরে ৫ চুক্তিতে সাক্ষর ভারতের


পরিবারের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এনআইএর মতো কোনও তদন্ত সংস্থা যদি গ্রেফতার করে তাহলে লোকাল থানাকে তা জানানো হতো। দরজা ভেঙে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারা তুলে নিয়ে গিয়েছে, তাদের পরিচয় কী তা জানা যায়নি। কোথায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছেতাও জানা যায়নি। এরা এনআইএ, নাকি বিজেপি, নাকি মাওবাদী তা বুঝতে পারছি না। 


উল্লেখ্য, ছত্রধরকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানিয়ে দিয়েছে এনআইএ। ২০১০ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ থাকে এনআইএর আদালতে পেশ করা হবে। এনআইএর দাবি, লালগড়ে ছত্রধরের বাড়িতে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে তার ছেলে ও নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দেন। ধস্তধস্তিও হয়।