নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রচারের বেরিয়ে হুমকির মুখে পড়লেন বীরভূমের নানুরের সিপিএম প্রার্থী। পাশাপাশি সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দিলে হাত কেটে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এমনটাই অভিযোগ উঠল এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল নানুরের আগরতোড় গ্রামে প্রচারে যান সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান। সেখানেই স্থানীয় নেতা কুরবান সেখানে সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় সিপিএম প্রার্থীর। কুরবান সেখ শ্যামলীকে প্রশ্ন করেন, গত ৫ বছরে বিধায়ক ছিলেন, কাজ কই। তর্কাতর্কির মধ্যে শ্য়ামলীকে বলতে শোনা যায়, পঞ্চায়েত বলেছে সিপিএমের টাকার কাজ করব না। এখন তোমাকে যদি ওই টাকা দিই তাহলে কাজ করতে পারবে? পাল্টা তৃণমূল নেতার দাবি, কাজ যখন করতে পারবেন না তখন এলাকায় এসে উস্কানি দেওয়ার কী প্রয়োজন? এখানে  সিপিএমের ভোট নেই। হাত কেটে দেব। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই চলে ওই হুমকি। 


আরও পড়ুন-ফিরেছে শ্মশানের সেই বিভীষিকা স্মৃতি! ছাড় পাচ্ছে না শিশুরাও



সিপিএমের তরফে বলা হয়েছে, খোদ প্রার্থীকে হুমকি ও সিপিএমে ভোট দিলে হাত কেটে নেওয়ার কথা বলাকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে দল। ইতিমধ্যেই বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় জানানো হয়েছে। আজ  এনিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ দায়ের করা হবে নির্বাচন মিশনেও। 


আরও পড়ুন-দেশে ২ লক্ষ দৈনিক করোনা সংক্রমণ, ১লা বৈশাখ পালনে ব্যস্ত মাস্কহীন বেপরোয়া শহরবাসী


এদিকে, এনিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি,  শ্যামলী প্রধান নানুরের বিধায়ক ছিলেন। গত ৫ বছর তিনি কোনও কাজ করেনি। তাই তাঁকে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। 


এনিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন,  সব দলের  প্রচার করার অধিকার রয়েছে। ৩৪ বছরে সিপিএম যে অত্য়াচার করেছে তা তৃণমূল করেনি। করবেও না। কুরবান সেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাকে আমি ডেকে পাঠাচ্ছি। আবার বলছি, সব দলের প্রচার করার অধিকার রয়েছে।


উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট চলাকালীন বিভিন্ন ভাবেই উত্তপ্ত হয়েছে নানুরে।  গতকালও বোমা উদ্ধার করা হয়।  এরকম অবস্থায় এই ঘটনা ফের সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিল।